
ফের সোশ্য়াল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। অন্যবার ট্রোল বা কটাক্ষকে পাত্তা না দিলেও এবারে আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। উত্তরপাড়া থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের বিধায়ক ও অভিনেতা। প্রয়াত মাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন ভাষা প্রয়োগ করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাঞ্চন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ চান এর বিরুদ্ধে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় কাঞ্চনের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রায়ই তাঁকে দেখা যায় ব্যক্তিগত জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলিকে তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শ্রীময়ী। সেখানেই এক মহিলা কঞ্চনের প্রয়াত মাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে। কাঞ্চন এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁরা খারাপ কথা, মিথ্যে অপবাদ এগুলো দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু মাকে টেনে কুকথা বলায় সেটা আর মেনে নিতে পারেননি কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি বলা যায় না।
কাঞ্চন পরে জানতে পারেন যে মহিলা তাঁর মাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন, তিনি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় বিউটিশিয়ান। এরপরই কাঞ্চন উত্তরপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে কাঞ্চন মল্লিকের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে আমরা ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। ফোনে তিনি আমাদের বলেন, যেভাবে আমাকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে তা প্রতিবাদযোগ্য। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। বিধায়ক এও জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বাক স্বাধীনতা রয়েছে বলে এমনটা নয় যে যা খুশি বলবে। সেই কারণেই তিনি পুলিশের দারস্থ হয়েছেন। কাঞ্চন আরও বলেন, যদি প্রয়োজন পরে তাহলে আদালতেও যেতে প্রস্তুত। তবে তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত কাঞ্চন মনে করিয়ে দিলেন, একজন অভিনেতা বা সাংসদ হিসাবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসাবেই তিনি এই অপরাধের বিচার চান।
স্বামীর এই অপমানে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্ত্রী শ্রীময়ীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একাধিক পোস্ট করেছেন। যদিও শ্রীময়ীর অন্য পোস্টে গিয়ে ওই মহিলা তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তাঁকে ক্ষমা করবেন না বলেই পোস্টে জানিয়েছেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের মাকে টেনে খারাপ কথার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীময়ী যথাযথ জবাব দিয়েছেন ওই মহিলাকে। ওই মহিলা ক্ষমা চাইলেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল কাঞ্চন। প্রতিবাদ করতেই হবে, সোশ্যাল মিডিয়া যা খুশি লেখা যায় না, বলেছেন কাঞ্চন।
সংবাদদাতা- রাহি হালদার