মিঠুন চক্রবর্তীঅভিনেতা-রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের গুরুতর অভিযোগ উঠল। মিঠুনের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করেছে বৃহন্মুবই পুরনিগম বা BMC। গত ১০ মে জারি করা নোটিসে বিএমসি দাবি করেছে, মহারাষ্ট্রের মালাড এলাকার এরাঙ্গল গ্রামে মিঠুনের যে বাড়িটি রয়েছে, সেখানে অবৈধ সংস্কার করা হয়েছে। ওই বাড়িটির একতলার সংস্কার অবৈধ বলে দাবি করেছেন বিএমসি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের মালাড এলাকায় অনুমতি ছাড়াও ওই বাড়ির একতলাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মর্মে বিএমসি নোটিস জারি করেছে। পুরনিগমের পক্ষ থেকে এই জারি করা নোটিসে মিঠুন চক্রবর্তীকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিসে উল্লেখ রয়েছে, যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেওয়া হয়, তবে নির্মিত ওই পরিকাঠামো ভেঙে ফেলা হবে। ভেঙে ফেলার খরচও মালিককে বহন করতে হবে। এমনকি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আসে ১৭ মে, শনিবার। এইদিনই মিঠুন চক্রবর্তী অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। জানা গিয়েছে, মিঠুন একা নন, অনেকের কাছেই এই নোটিস পৌঁছেছে। আপাতত তারকা আইনি পথে উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় প্রায় ১৩০টি অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে কিছু বাংলো নকল নকশার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ৯ মে আশেপাশের এলাকায় ৯টি নির্মাণ ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। সবকটি অবৈধ নির্মাণ ৩১ মে’র মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএমসি।
পুরনিগম জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ হওয়ায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুম্বই পুরসভা আইন, ১৮৮৮-এর ধারা ৩৩৭, ৩৪২, ৩৪৭ ও ৩৫১ (১এ)-র অধীনে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া, ধারা ৪৭৫এ অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলে আর্থিক জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।