Sayak Chakraborty: অষ্টমীতেও 'সিঙ্গল' থাকবেন সায়ক, প্রেমিকার কোন স্বভাব না-পসন্দ?

Sayak Chakraborty: জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ভ্লগার আবার অপরদিকে অভিনেতাও। সায়ক চক্রবর্তীর জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। অভিনয় দিয়ে পেশাজীবন শুরু করলেও এখন সায়ক রীতিমতো জনপ্রিয় ইউটিউবার। তাঁকে চেনেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

Advertisement
অষ্টমীতেও 'সিঙ্গল' থাকবেন সায়ক, প্রেমিকার কোন স্বভাব না-পসন্দ?সায়ক চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ভ্লগার আবার অপরদিকে অভিনেতাও।

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ভ্লগার আবার অপরদিকে অভিনেতাও। সায়ক চক্রবর্তীর জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। অভিনয় দিয়ে পেশাজীবন শুরু করলেও এখন সায়ক রীতিমতো জনপ্রিয় ইউটিউবার। তাঁকে চেনেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে সায়কের তুই আমার হিরো সিরিয়ালের কাজ। পরবর্তী কাজের প্রস্তাব না আসা পর্যন্ত হাতে প্রচুর সময়। আর পুজো তো এসেই গেল। ষষ্ঠী টু দশমী কী প্ল্যান অভিনেতার, bangla.aajtak.in-কে খোলামেলা আড্ডায় জানালেন সায়ক। 

মা ও দাদাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন সায়ক। পুজোর চারদিনের প্ল্যান নিয়ে বললেন, 'পঞ্চমী থেকেই আমার পুজো শুরু। পঞ্চমীতে আমার জন্মদিন। প্রচুর উপহার পাব, সেটা দিয়েই বাকি পুজোটা কাটিয়ে দেব ভাবছি। ষষ্ঠীতে থাকে পুজো পরিক্রমা, তখনই অধিকাংশ বড় বড় ঠাকুর দেখা হয়ে যায়। সপ্তমীর দিন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেরোতে হবে। অষ্টমীর দিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে অঞ্জলি দেওয়া মাস্ট। আর অষ্টমীর রাতেও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েই আড্ডা-খাওয়া দাওয়া আর নবমীর দিন পরিবারের সঙ্গে, কোথাও খেতে যাই।' বলে রাখা ভাল ইতিমধ্যেই ঠাকুর দেখা শুরু করে দিয়েছে সায়ক। পুজোর কেনাকাটা নিয়ে অভিনেতা বলেন, 'পুজোয় এত শপিং করেছি যে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত পরেও শেষ হবে না। মানে অঢেল জামা-কাপড় কেনা হয়েছে এই বছর।' 

ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক

ঘরে ঘরেই সায়ক এখন ভীষণ পরিচিত এক মুখ তাই পুজো দেখতে গিয়ে লাইন দিতে হয় না। সায়কের কথায়, এখন তো মুখ দেখে ছেড়ে দেয় তাই লাইন দিতে হয়না। আর দশমীর প্ল্যান? সায়ক জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিন রাত জেগে ঠাকুর দেখার পর দশমীর দিন পুরো জমিয়ে ঘুমান অভিনেতা। এই বছরও সিঙ্গলই অঞ্জলি দেবেন সায়ক। পর্দায় বেশ কয়েকবার বিয়ে হলেও বাস্তবে সায়ক বিশুদ্ধভাবে 'সিঙ্গল'। আসলে সায়কের কথায়, প্রেমিকার সব খরচ বহন করার চেয়ে, নিজের পিছনে খরচ করা ভাল, তাই তিনি এখনও 'সিঙ্গল'। অভিনেতা বলেন, 'আমার ভাগ্যে যাঁরাই জুটেছে, সবার পিছনে আমাকেই খরচ করতে হয়েছে।' সায়ক এখনও পর্যন্ত ৩টে প্রেম করে ফেলেছে, যদিও একটাও টেকেনি। ইউটিউবার জানিয়েছেন, 'প্রেম না করে, নিজেকে সময় দেওয়া ভাল।' 

Advertisement

ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক

খেতে ভীষণ ভালোবাসেন সায়ক। তা তাঁর ডেইলি ভ্লগেই দেখা যায়। আর পুজোর সময় খুব একটা রেস্তোরাঁয় খেতে পছন্দ করেন না সায়ক, কারণ খাবারের গুণগত মান ওই সময় অতটা ভাল থাকে না। তবে হাতে গোনা কিছু রেস্তোরাঁতে খেতে যান সায়ক। পুজোতে বাঙালি খাবার আর স্ট্রিট ফুড খেতেই পছন্দ করেন তিনি। অভিনেতা বলেন, 'পুজোর সময় স্ট্রীট ফুডের দোকানিরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এবং ভাল ভাবেই তৈরি করেন সব খাবার। এ বছর এগরোল, ফুচকা, চাউমিন এইসব খেতেই হবে আর রাস্তার ধারের আইসক্রিম মাস্ট।' উল্লেখ্য, পুজোর আগেই সায়কের দাদা সব্যসাচীর সঙ্গে বৌদি সুস্মিতা রায়ের বিয়ে ভেঙেছে। যদিও তার প্রভাব পরিবার বা সায়কের ওপর পড়েনি। সায়ক এই নিয়ে বলেন, 'যে যাঁর জীবনে ভাল আছে। ভাল থাকাটাই জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু দাদাই কতটা মুভ অন করতে পেরেছে জানি না। কিন্তু আমার মনে হয় যে দুজন দুজনের জায়গায় ভাল থাকলেই ভাল।' এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সুস্মিতার সঙ্গে সেভাবে কথা না হলেও টুকটাক কথাবার্তা হয়। 

ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক

প্রতি বছরই মায়ের থেকে সায়ক উপহার পেয়ে থাকেন। এই বছর পুজোতে সায়কের মা ছেলেকে রুবি দিয়েছে, যেটা সায়ক সব সময় পরে থাকেন। এটা জন্মদিন ও পুজোর উপহার একসঙ্গে, জানালেন সায়ক। আর সায়ক তাঁর মাকে প্রচুর শাড়ি কিনে দিয়েছেন আর অভিনেতার মা শাড়ি পেয়েছেনও অনেক। আর সায়ক নিজেকে উপহার দিয়েছেন সদ্য লঞ্চ হওয়া আইফোন ১৭ প্রো। উল্লেখ্য, পুজোর আগেই শেষ হয়েছে 'তুই আমার হিরো' সিরিয়ালে তাঁর কাজ। তাই পুজোর সময় সায়কের হাতে অফুরন্ত সময় ঘুরে বেড়ানোর। দশমীর দিন বিসর্জনের সময় ছেলেদের ক্যাওড়া ডান্স দেখে থাকবেন অনেকেই। সায়ক নাচেন নাকি বিসর্জনে ক্যাওড়া ডান্স? সায়ক বলেন, 'আমার বাড়ি সোনারপুরের মোড়ে ছিল। আর প্রচুর বিসর্জন যেত। মা আমাদের সেভাবে ছাড়তই না। এমনকী পাশের পুজোতেও যেতে দিত না। তাই বিসর্জনে ক্যাওড়া ডান্স বা পাড়ার বন্ধু এই ধরনের কিছু করার সুযোগ পাইনি। মা আগে প্রচণ্ড কড়া শাসনে রাখত।' পুজোর কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা? সায়ক বলেন, 'রাজপুরে থাকাকালীন ছোটবেলায় দক্ষিণ কলকাতা মায়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখেছিলাম আর রাতে বাডি ফিরেছিলাম হেঁটে হেঁটে। একটাও অটো পাইনি।'    

POST A COMMENT
Advertisement