'দিদি নম্বর ১' থেকে হুগলির সাংসদ। দুই ক্ষেত্রই সমান পারদর্শিতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন রচনা। হুগলির সাংসদ নির্বাচন হয়েছেন তিনি। অপরদিকে, দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিংও চালিয়ে যাচ্ছেন। ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রচনার। বাড়িতে পুজো-পার্বনও করে থাকেন। সাংসদ হওয়ার পর ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। আর এত ব্যস্ততার মাঝেও এই প্রথমবার নিজের আরবানার ফ্ল্যাটে জন্মাষ্টমী পালন করলেন। ইচ্ছে বহুদিনের থাকলেও তা হচ্ছিল না। তবে এই বছর তা সম্ভব হল দিদি নম্বর ১-এর জন্যই।
একেবারে ঘরোয়া ভাবেই গোপালের পুজো করেন রচনা। সাংসদ-অভিনেত্রী বলেন, আমার ইচ্ছে ছিল বাড়িতে গোপাল পুজো করব, ভেবেছিলাম কখনও যদি বাড়িতে আসেন জন্মাষ্টমী পালন করব। কিছুদিন আগে দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে একজন দিদি আমাকে গোপাল দেন, এই প্রথম আমার বাড়িতে সেদিন গোপাল আসেন। সেদিন থেকেই ঠিক করেছিলাম জন্মাষ্টমী পালন করব। এই বছর আমার প্রথমবার জন্মাষ্টমী, পুরোটা নিজে গুছিয়ে নিয়েই করেছি। তবে ইচ্ছে আছে আরও বড় করে জন্মাষ্টমী পালন করব।
রচনা বলেন, জন্মাষ্টমীতে সকলে আমায় আমন্ত্রণ করত আমি ভাবতাম আমার বাড়িতে কবে গোপাল ঠাকুর আসবে। এই বছর থেকে জন্মাষ্টমী শুরু হল। পরের বছর আরও বড় করে হবে। আদরের নাড়ু গোপালকে কী কী ভোগ দিলেন রচনা? প্রথম জন্মাষ্টমীতে গোপালকে তালের ক্ষীর, লুচি, সুজি, নানা ধরনের নাড়ু, ফল এইসব দিয়েছেন ভোগে। কাছের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নিয়েই খাওয়া-দাওয়া করেন বাড়িতে।
রচনা এমনিতেই জগন্নাথ দেবের ভক্ত। জগন্নাথ পুজো করেন প্রত্যেক বছর। এছাড়াও সাংসদের বাড়িতে প্রতি বছর বড় করে গণেশ পুজো হয়ে থাকে। শুধু জন্মাষ্টমীটাই পালন করা হচ্ছিল না। তবে এই বছর রচনার সেই অপূর্ণ ইচ্ছাও পূরণ হল। এদিন অফ হোয়াইট রঙের শাড়িতে সুন্দর লাগছিল অভিনেত্রীকে। হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও জি বাংলার দিদি নম্বর ১-এ সঞ্চালনা বন্ধ করেননি তিনি। দু’দিক দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন রচনা।