উত্তম কুমারের পরিবারের নাতবৌ। আর এই পরিবারের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ইতিহাস কম-বেশি সকলেরই জানা। এই পরিবারের ছেলে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে লক্ষ্মী পুজোয় বসেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। আর প্রতি বছরের মতো এই বছরও দেবলীনা একই সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ও তাঁর নাচের স্কুলের লক্ষ্মীপুজোর দায়িত্ব পালন করবেন। যার তোড়জোড় তিনি শুরু করে দিয়েছেন রবিবার থেকেই।
বিগত ১৫ বছর ধরে দেবলীনা তাঁর নাচের স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করছেন। নিজে গিয়ে ঠাকুর নিয়ে আসেন। নাড়ু বানানো, পায়েস তৈরি করা কিংবা মা লক্ষ্মীর সাজ, সবটাই অভিনেত্রী নিজের হাতে করে থাকেন। সঙ্গে থাকে ভোগের বন্দোবস্ত। কী কী থাকছে সেই ভোগে? সেই ভোগে থাকছে লুচি, ছোলার ডাল, ছানার ডালনা, আলুর দম, পোলাও, পায়েস, সন্দেশ ও নারকেল নাড়ু। এছাড়াও থাকবে বিশেষ ভোগ হিসেবে একটি স্ন্যাক্সের একটি বিশেষ ট্রে। কারণ দেবলীনার ঘরে মা লক্ষ্মী পূজিত হন বাড়ির মেয়ের মতো।
দেবলীনার নাচের স্কুলে মা লক্ষ্মী পূজিত হন মহা সমারোহে। প্রতি বছরই দেবলীনা এখানকার পুজো সামলে শ্বশুরবাড়িতে যান সেখানকার পুজোয় অংশ নিতে। উত্তম কুমারের পরিবারের লক্ষ্মীপুজোতেও জাঁক জমকের কমতি নেই। প্রতিবারই খুব বড় করে হয় এই পুজো। ভবানীপুরে মহানায়কের বাড়ির পুজোর লক্ষ্মী ঠাকুর ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। যাঁকে বরণ করে ঘরে তুলেছেন পরিবারের মেয়ে-বউয়েরা।
দেবলীনা এই পরিবারের রীতি মেনে পাঁচ লিটার দুধের পায়েস রান্না করেছেন নিজের হাতে। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর প্রত্যেক আচার-অনুষ্ঠান তিনি বাড়ির নিয়ম মেনে করেন। নিজের হাতেই করেন শ্রী তৈরি, নাড়ু, মিষ্টি তৈরি সবটা। গৌরবের সঙ্গে তাঁকে পুজোয় বসতে হয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই লক্ষ্মীপুজোয় একেবারে অন্যরূপে দেখা মেলে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের। ধনদেবীর আরাধনায় লক্ষ্মীরূপেই ধরা দেন তিনি। একদিকে শ্বশুরবাড়ির পুজো, অন্যদিকে নাচের স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠেন অভিনেত্রী।
দিনভর উপোস থেকে দুই বাড়ি সমানতালে সামলাতে যে পারদর্শী তিনি, সে কথা সকলেরই জানা। অতিথিদের দেখাশোনা থেকে শুরু করে পুজোর নিয়মকানুন, কোমর বেঁধে সামলান দেবলীনা।