সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্লগিংকে অনেকেই তাঁদের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ যেমন রয়েছেন তেমনি তারকাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ডেইলি ভ্লগের মাধ্যমে মোটা টাকা উপার্জন করছেন টলিউড ও টেলিভিশনের বহু সেলেবরাই। আর সেই তালিকায় রয়েছেন মধুবনী গোস্বামী। নিজের রোজনামচার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই পোস্ট করে থাকেন অভিনেত্রী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রোলের মুখে পড়তে হচ্ছে মধুবনীকে। কখনও ওয়ার্কিং মাদার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আবার কখনও বা শাঁখা-পলা পরা নিয়ে তাঁর পোস্ট, আলোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী। এতকিছুর পর এবার মধুবনী হাজির হলেন তাঁর মাধ্যমিকের মার্কশিট নিয়ে। কত পেয়েছিলেন মধুবনী মাধ্যমিকে?
কলকাতার মহাদেবী বিড়লা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন মধুবনী। ২০০৯ সালে তিনি বোর্ডস দিয়েছিলেন। যে সময় মধুবনী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর ধারাবাহিকের কাজও চলছিল জোর কদমে। মধুবনীর মাধ্যমিকের মার্কশিট অনুযায়ী, তাঁর ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ ইংরেজিতে পান ১০০-র মধ্যে ৮৯। বাংলায় পান ৮৮। অঙ্কে পেয়েছিলেন ৮৪! ওদিকে বিজ্ঞান বিভাগে অভিনেত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮৭। আর সামাজিক বিজ্ঞানে পেয়েছিলেন ৮৭। ভাল নম্বর পেয়েই পাশ করেছিলেন মধুবনী।
অভিনেত্রী তাঁর মধ্যমিকের মার্কশিট ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে অনেকেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আসলে অভিনেত্রীর স্বামী অভিনেতা রাজা গোস্বামী কিছুদিন আগেই তাঁর B.Tech Engineer-এর মার্কশিট দেখান। আর তারপর থেকেই মধুবনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই পোস্টে মধুবনী জানিয়েছেন যে তিনি যখন পড়াশোনা করতেন তখন মন দিয়ে করতেন আর সিরিয়ালে অভিনয় যখন করতেন সেটাও মন দিয়ে করতেন। আর যে কারণে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। প্রসঙ্গত, বিয়ের পরপরই রূপোলি পর্দা থেকে নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মধুবনী। নিজেই জানিয়েছেন, এ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অভিনয় ছাড়লেও নিজস্ব পার্লার আছে মধুবনীর।
মাধ্যমিকের মার্কশিট পোস্ট করার পরও তাঁর পিছু ছাড়েনি ট্রোল। একজন লেখেন, পরীক্ষায় গাদা গাদা নম্বরের সঙ্গে বাস্তব বুদ্ধির কোনও সম্পর্ক নেই। আবার কেউ কেউ লেখেন যে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন, আপনার চিন্তাধারা এসবই মানুষ মনে রাখে। আপনি আবার বোকা বোকা পোস্ট করে বোঝালেন মানুষ কতটা সঠিক ছিল আপনার ব্যাপারে। আবার কেউ কেউ লেখেন নিজেকে জাহির করো না। এরকম মার্কস ঘরে ঘরে। আবার কেউ লেখেন, তারকাটা নাকি ইনি। তবে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুবনীর পোস্ট খুবই ট্রেন্ডিং। কিছু পোস্ট করলেই তা ভাইরাল নিমেষে।