একদিকে সামলান সংসার-ছেলের দায়িত্ব, অন্যদিকে শ্যুটিংয়ের চাপ আর এখন নতুন করে সংযোজন হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এইসব দিক সমান দক্ষতায় সামলেও নিজেকে দারুণভাবে ফিট রাখেন সাংসদ-অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে কোনওভাবেই বোঝার উপায় নেই তাঁর বয়স কত। ৪০-এর কোঠা পেরিয়েছেন অনেকদিনই। তবে রচনার মুখের গ্লো এখনও তাঁকে ৩০-এ ধরে রেখেছে। বহু লোকই তাঁর এই ফিটনেসের মন্ত্র জানতে চেয়েছিলেন। রবিবারই তা ফাঁস করলেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
রচনা রবিবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে একেবারে নৌ মেকআপ লুকসে। চোখে চশমা পরা আর দুহাতে ধরা দুটো কাগজের গ্লাস। আসলে রবিবার লেকের পাশে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন আর সেখান থেকেই তিনি জানালেন তাঁর ফিট থাকার ও ত্বকের রহস্য। এক হাতে করলার জুস। অন্য হাতে অ্যালোভেরা-আমলার জুস। রচনা এরপর ভিডিওতে বলেন, সবাই জিজ্ঞেস করেন আমি কী করে এখনও নিজের চেহারা ধরে রেখেছি। তার রহস্য হল এটাই। এক দিকে নিম ও করলার রস খাচ্ছি। আর অন্য দিকে আমলা-অ্যালোভেরার রস খাচ্ছি। কিছু করার নেই খেতে হবে নিজের শরীর ঠিক রাখতে।
রচনা ভিডিওতেই জানান যে এই দুই জুস তিনি বাড়িতেই খান কিন্তু আজ হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তাতেই খেলেন। নিম ও করলার রস খাওয়ার সময় রচনাকে বলতে শোনা যায় খুব তেতো। তবে তেতো হলেও এই দুই রস তিনি নিয়মিতভাবে খান। আর যার জন্যই তিনি এত ফিট থাকেন এবং ত্বক গ্লো করে। রচনাকে বড়পর্দায় দর্শকেরা যখন দেখেছিলেন আর এখনকার রচনার চেহারার মধ্যে কোনও বদলই নেই। একইভাবে তিনি রয়েছেন ছিপছিপে। তার ওপর তাঁর ত্বকও খুব ভাল। রচনার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই অভিনেত্রী-সাংসদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বড়পর্দা থেকে বিদায় নেওয়ার পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি নম্বর ১-এর মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তা একেবারেই ম্লান হতে দেননি। চলতি বছরেই অভিনেত্রী রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। হুগলির সাংসদ এখন রচনা। প্রচারের সময়ও রচনাকে ঠিক রাখতে হয়েছিল নিজের ডায়েট। কারণ সেই সময় খুব একটা শরীরচর্চার সময় তিনি পেতেন না। কিন্তু ভোট শেষ হতেই সাংসদ-অভিনেত্রী আবার নিজেকে ফিট রাখার কাজে লেগে পড়েছেন।