বরাবরই পরিবারের খুব কাছের ছিলেন রাইমা সেন। নিজের ব্যস্ততা থেকে সময় বের করতে পারলেই তিনি মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশ ভালোবাসতেন। মঙ্গলবার বাবা ভরত দেব বর্মা প্রয়াত হন। আর বাবার শেষ সময়ে কাছে থাকতে পারেননি রাইমা। সেই সময় তিনি দিল্লিতে ছিলেন। কিন্তু কলকাতায় এসে রাইমা জানিয়েছিলেন যে তিনি বাবাকে ভীষণভাবে মিস করবেন। আর ভরত দেব বর্মার মৃত্যুর তিনদিন পর বাবাকে নিয়ে আবেগঘন চিঠি লিখলেন রাইমা।
রাইমা বাবা ভরত দেবের দুটি সাদা-কালো ছবি এবং একটি রঙিন ছবি শেয়ার করেন, যেখানে বাবার কোলে বসে রাইমা। সেই ছবি শেয়ার করে রাইমা লেখেন, বাবা আণি এখনও তোমায় নিয়ে কিছু লেখার মতো অবস্থায় নেই। তুমি বাবা ও স্বামী হিসাবে কেমন ছিলে, তা কোনও শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাবা তুমি যেখানেই থাকো ভাল থেকো এবং তুমি সবসময় রাজার মতো থেকো সকলের হৃদয়ে। তোমাকে সবসময় খুব মিস করব এবং সারাজীবন ভালোবাসব।
রাইমার সোশ্যাল মিডিয়া ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে তাঁর বাবা ও মায়ের একাধিক ছবি। রাইমা তাঁর পরিবারকে বরাবরই সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। দিদা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তাঁর ছোটবেলার মুহূর্তগুলিও শেয়ার করে থাকেন প্রায়ই। আচমকা বাবার মৃত্যুতে রাইমা খুবই ভেঙে পড়েছেন। মঙ্গলবার বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই মা মুনমুন সেনের সঙ্গে দিল্লি থেকে কলকাতায় উড়ে আসেন রাইমা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ই রাইমাকে দেখা যায় তাঁর চোখ ফোলা। সেভাবে কিছুই বলতে পারেননি রাইমা। শুধু এটুকুই বলেন যে তিনি বাবাকে খুব মিস করবেন।
বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন ভরত। এরপর দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বরাবরই দুই কন্য রিয়া ও রাইমা এবং স্ত্রী মুনমুনকে আগলে রেখেছিলেন ভরত। তাই তাঁর মৃত্যুতে গভীর শূন্যতা সেন পরিবারে। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ছিলেন ভরত দেব বর্মা। তাঁর বাবা মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব, মা রাজমাতা ইলাদেবী। ভরতের মাসি ছিলেন জয়পুরের রাজমাতা গায়েত্রীদেবী। মুনমুনের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ভরতের বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। তাঁদের দাম্পত্য জীবনও ছিল খুবই সুন্দর।