আজ ভাইফোঁটা। বাঙালির ঘরে ঘরে পালন হচ্ছে ভাই ও দাদাদের মঙ্গল কামনার এই উৎসব। সারাদিন উপোস করে থেকে দিদি বা বোন ভাইয়ের কপালে তাঁর মঙ্গলের জন্য ফোঁটা দেন। ভাইফোঁটা আসলে ভাই-বোনেদের মিলনোৎসব। প্রতি বছরের মতো এই বছরও অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী তাঁর ভাইদের ফোঁটা দিলেন। তবে এই বছর ভাইফোঁটা সহ গোটা উৎসবের আবহই ছিল একেবারে অন্যরকম। আর তারই আভাস মিলল ঊষসীর সাজ-পোশাকেও।
রবিবার সকাল সকাল ঊষসী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীর সামনে বসে রয়েছেন দুই ভাই। আর তাঁদের ফোঁটা দেওয়ার তোড়জোড় করছেন ঊষসী। তিনি সাদা ও কালো পাড়ের একটি শাড়ি পরে রয়েছেন, যার পাড়ে লেখা 'মেরুদণ্ড বিক্রি নেই'। আর সাদা যে ব্লাউজটি পরেছেন, সেখানে মা দুর্গার ছবি দেওয়া, যার নীচে লেখা বিচার চাই। প্রসঙ্গত, এই শাড়িটি তিনি উপহার পেয়েছিলেন। মহালয়ার দিন নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের অংশ ছিলেন ঊষসী। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। যেখানে ঊষসীর গায়ে জড়ানো ছিল একটা কালো পাড় সাদা শাড়ি। যাতে স্পষ্টভাবে লেখা, 'মেরুদণ্ড বিক্রি নেই'। সেই শাড়ি পরেই এই বছর ভাইফোঁটা শুরু হল অভিনেত্রীর।
ঊষসী বুঝিয়ে দিলেন উৎসব পালনের মাঝেও আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চাওয়ার দাবি তিনি ভোলেননি। এই ছবি পোস্ট করে ঊষসী লেখেন, ভাইফোঁটা শুরু হল। প্রতি বছরই ঊষসীর বাড়িতে ঘরোয়াভাবেই ভাইফোঁটা পালন করা হয়। কাজের সব ব্যস্ততাকে দূরে রেখে ভাইফোঁটার দিনটা বিশেষভাবে উদযাপন করেন পর্দার জুন আন্টি। অভিনেত্রীর থেকে ফোঁটা নিতে তাঁর বাড়িতেই আসেন ভাইয়েরা। সঙ্গে চলে জমজমাটি আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া। যদিও এই বছরের ভাইফোঁটার পরিবেশটা একেবারেই অন্যরকম। আরজি কর-কাণ্ড ঘটে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের খুনের ঘটনার দাবিতে ঊষসীকে বার বার সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে।
কখনও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন আবার কখনও বা জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে হাজির হয়েছেন। এই বছরের পুজোতে একটা নতুন সুতোও কেনেননি অভিনেত্রী। নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে অন্য ধরনের অষ্টমী সন্ধ্যা কাটাতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। ঊষসীকে সেই সময় বলতে শোনা গিয়েছিল, সারারাজ্যে প্রতিবাদ আর উৎসব মিলেমিশে থাকবে- সমার্থক শব্দ হয়ে। আর তিনি এই দুটোতেই অংশ নেবেন।