যেমন মিষ্টি মুখ তেমনি তাঁর মিষ্টি গলা। তাঁরগান শুনলে মন জুড়ে আসে দারুণ এক শান্তি। তাঁর গাওয়া ভক্তিগীতি শুনলে এক নিমেষে মন ভালো হয়ে যায়। সেই অদিতি মুন্সীকেই আচমকা গান বন্ধ করতে হল। একের পর এক শো বাতিল করলেন গায়িকা। অথচ এই সময় থেকেই শুরু হয় রাজ্য তথা দেশ-বিদেশে গান গাওয়ার লাইভ শো। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অদিতি অবশ্য তাঁর এই শো বাতিলের কারণ জানিয়েছেন। আর তা জানার পর থেকেই উৎকন্ঠায় রয়েছেন গায়িকার ভক্ত-অনুগামীরা। কী হয়েছে গায়িকার?
জানা গিয়েছে, অদিতির গলায় সংক্রমণ হয়েছে। আর যে কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তিনি বেশ কিছুদিনের জন্য গান গাওয়া বন্ধ রেখেছেন। আর যার কারণে তাঁকে একের পর এক শো বাতিল করতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট করে অদিতি লেখেন, 'শারীরিক অসুস্থতার কারণে নভেম্বর মাসের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলি বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছি। অনুষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রোতাবন্ধুদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার স্থির বিশ্বাস আপনাদের ভালোবাসায় ও আশীর্বাদে খুব তাড়াতাড়ি আবার আপনাদের গান শোনাতে ফিরে আসব।' সেই সঙ্গে অদিতি ছবির মধ্যে কয়েকটি লাইন লিখে দিয়েছেন। সেখানেই বিস্তারিত রয়েছে তাঁর অসুস্থতার কথা।
২০ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার অদিতির শো ছিল ডানকুনির ষষ্ঠীতলা উল্কা সংঘ ক্লাবে, ২২ নভেম্বর চন্দননগরের কানাইলাল পল্লী, ২৩ নভেম্বর কনকপুরের বালিপুর তরুণ সংঘ ক্লাব, ২৬ নভেম্বর বাজে কদমতলা ঘাট, বাবুঘাট এই জায়গাগুলিতে অদিতির শো ছিল। কিন্তু গলার এই অবস্থার কারণে তিনি কোনও অনুষ্ঠানেই গান গাইতে পারবেন না। অগত্যা শো বাতিল করতে হয়েছে গায়িকাকে। অদিতি জানিয়েছেন যে তাঁর গলার অবস্থা এতটাই খারাপ যে তিনি কথাও বলতে পারছেন না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি গান গাওয়া বন্ধ করেছেন। তবে গায়িকা আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি খুব শীঘ্রই আবার মঞ্চে ফিরবেন এবং শ্রোতাদের হরিনাম শোনাবেন।
শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি অদিতি বিধায়কও। রাজনৈতিক দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। এতদিন রাজনীতি ও গান দুইই সমান দক্ষতার সঙ্গে চালিয়ে এসেছেন তিনি। অদিতি মূলত কীর্তন ও ভক্গিগীতি নিয়েই কাজ করেন। তাঁর কন্ঠে ভক্তিগীতি অমৃত সমান। কালীপুজোর সময় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করেছিলেন অদিতি। বাংলায় কবে শুরু হয়েছে কালীমূর্তি স্থাপন করে কালী পুজো? কালীমূর্তি, সাধকদের কালী সাধনা আর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নানা মন্দিরের অজস্র কাহিনি শুনিয়েছিলেন অদিতি মুন্সি, শুধুমাত্র জি বাংলা সিনেমায়। কোথায় দেবীমূর্তি নাচের ভঙ্গিমায় থাকেন? কোথায়ই বা দেবীকে ক্ষ্যাপাকালী বলা হয়? এসব কাহিনিই শুনিয়েছিলেন অদিতি মুন্সি। যা দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।