'কে শাহরুখ খান' থেকে ভোররাত ২টোর সময় অভিনেতার সঙ্গে কথোপকথন। পুরো দৃশ্যটাই এক ঝটকায় কীভাবে বদলে যেতে পারে তা এই ঘটনাই জীবন্ত উদাহরণ। একদিন আগেই শাহরুখকে চিনতেও পারেননি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁকে শাহরুখের সিনেমা পাঠান মুক্তির দিন বিক্ষোভ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হিমন্ত পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, 'কে এই শাহরুখ খান?' আর এই ঘটনার পরই এসআরকে শনিবার ভোররাত ২টোর সময় মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বসেন।
ভোররাত ২টোর সময় শাহরুখের ফোন
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলিউডের সুপারস্টারকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে পাঠান সিনেমা মুক্তির দিন রাজ্য সরকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সেদিন হবে না বলেই তিনি শাহরুখকে জানিয়েছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজের টুইটারে বলেন, 'বলিউড অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান আমায় ফোন করেছিলেন এবং আমরা রবিবার ভোররাত ২টোয় আলোচনা করি। গুয়াহাটিতে শাহরুখের সিনেমা পাঠান মুক্তির দিন গণ্ডগোল হবে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করে জানিযেছি যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। আমরা খতিয়ে দেখব এবং নিশ্চিত করছি যে ওইদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।'
কী কথা হল দুজনের
প্রসঙ্গত, গুয়াহাটির সিনেমা হলে বজরং দলের করমীরা পাঠান সিনেমার পোস্টার জ্বালিয়ে দেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী তার বদলে প্রশ্ন করে বসেন, 'কে শাহরুখ খান? আমি তাঁর সম্পর্কে বা তাঁর সিনেমা পাঠান সম্পর্কে কিছুই জানি না।' শর্মা আরও জানান যে এ রাজ্যের মানুষদের উচিত অহমিয়া সিনেমা নিয়ে মাতামাতি করার কোনও হিন্দি সিনেমাকে নিয়ে নয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এও বলেন, 'খান আমায় ফোন করেননি, যদিও এই সমস্যা নিয়ে অনেক বলিউড তারকারাই আমায় ফোন করেছিলেন। তবে যদি তিনি ফোন করেন আমি অবশ্যই সেই বিষয়টি দেখব। আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং মামলাও রুজু করা হবে।' এরপরই শাহরুখ ফোন করলে একেবারেই সুর নরম হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অহমিয়া সিনেমা 'ডঃ বেজবড়ুয়া পার্ট ২'। তিনি সকলকে সেই সিনেমা দেখার আহ্বান জানান।
পাঠানের পোস্টার জ্বালিয়ে দেন বজরং কর্মীরা
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বজরং দলের কর্মীরা শুক্রবার নারেঙ্গির এক সিনেমা হলে গিয়ে পাঠানের পোস্টার ছিঁড়ে তা জ্বালিয়ে দেন। ২৫ জানুয়ারি এই সিনেমা হলেই মুক্তি পেতে চলেছে পাঠান। হিংসাত্মক এই কর্মকাণ্ডের সময় তাঁদের মুখে ছিল জয় শ্রী রাম স্লোগান। হিন্দুত্ব সংগঠন তাঁদের এই হিংসামূলক প্রতিবাদকে ধর্মের সম্মান রক্ষার্থে বলে অ্যাখা দিয়েছে।