NOTIFICATIONS
22nd Nov
সৌমিতৃষা ও আদৃত-কৌশাম্বী ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম 
আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়েতে গোটা মিঠাই পরিবারকে দেখা গেলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। শোনান যাচ্ছে নাকি তাঁকে বিয়ের আমন্ত্রণপত্রই পাঠানো হয়নি। তবে পাঠালেও যে তিনি এই বিয়েতে অংশ নিতেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ের দিন মিঠাই রানি বাড়ির বারান্দায় যেমন বৃষ্টিতে ভিজেছেন তেমনি বৃষ্টির দিনে মকাই বাড়ির চায়ে মজলেন, গাড়ি নিয়ে উপভোগ করলেন বৃষ্টির রাত। একেবারে নিজের মতো করেই কাটালেন এইদিনটি। তবে রিসেপশনের দিন সৌমিতৃষাকে দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করতে। যা দেখে অনেকেই মনে করছেন যে এটি তিনি আদৃত ও কৌশাম্বীর জন্যই দিয়েছেন।
দেবের নায়িকা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট করেছেন। ইংরাজিতে সেই পোস্টের বাংলা তর্জমা হল, আমি কিছু না করেই কীভাবে যেন স্পটলাইটে চলে আসি। সেই পোস্টটি শেয়ার করে এক চোখ টেপার ইমোজি শেয়ার করে সৌমিতৃষা লেখেন, জানেনই তো। এই পোস্ট সামনে আসার পর অনেকেই মনে করছেন যে এটা নিছকই কোনও পোস্ট নয়। বরং এই পোস্টের মাধ্য়মে তিনি নাম না নিয়ে আদৃতকেই খোঁচা দিয়েছেন। আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বিয়েতে মিঠাই রানিকে নেমন্তন্ন করা হয়েছে কিনা, তিনি যাবেন কিনা এই নিয়ে। তবে আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ের দিন দেখা গেল না সৌমিতৃষাকে। তাই এটা একেবারেই স্পষ্ট যে হয়তো সৌমিতৃষাকে বিয়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
‘মিঠাই’ চলাকালীন সৌমিতৃষার সঙ্গে আদৃতের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এও শোনা যায় এক প্রচ্ছন্ন ভাললাগা ছিল দুই তরফেই। কিন্তু সেই ভাললাগা ভালবাসায় পরিণতি পায়নি। বরং আদৃতের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর দিদিয়ার সঙ্গেই। আর তারপর থেকেই উচ্ছেবাবুর সঙ্গে রিয়্যাল লাইফে তিক্ত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিঠাই রানির। এমনকী মিঠাই শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের সম্পর্কে কোনও উন্নতি দেখা যায়নি, অবনতি হয়েছে। তবে শুধু আদৃতই নয়, গোটা মিঠাই পরিবারের সঙ্গেই সেভাবে কোনও সম্পর্ক নেই সৌমিতৃষার। আর যে কারণে আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ের কিছুদিন আগে মোদক পরিবারের হওয়া রিইউনিয়নে দেখা যায়নি সৌমিতৃষাকে।
মিঠাই শেষ হওয়ার পর সৌমিতৃষা সুযোগ পান প্রধান সিনেমায় দেবের নায়িকা হওয়ার। এরপরই নাকি সৌমিতৃষা একে একে মিঠাই সিরিয়ালের সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। যে কারণে মিঠাই সিরিয়াল চলাকালীন যে তন্বীর সঙ্গে মাখো মাখো বন্ধুত্ব ছিল, সেখানেও চিড় ধরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-অপরকে আনফলো করেন সৌমিতৃষা ও তন্বী।
