যেমন গানের গলা ভালো তেমনই তাঁর মতো মাটির মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাত্রা এবং সাদামাটা স্বভাব সকলের নজর কাড়ে। দেশ পেরিয়ে বিশ্বে যাঁর পরিচিতি, তিনি হলেন অরিজিৎ সিং। তাঁর একাধিক সমাজ সেবার খবর প্রায়ই নজরে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। নিজের জিয়াগঞ্জের বাড়িতেও মানবিকতার পরিচয় দিলেন গায়ক।
এত বড় শিল্পী অথচ অরিজিৎ জিয়াগঞ্জেই থাকেন। গায়কের প্রতিবেশীদের কাছ থেকেই শোনা গিয়েছে যে অরিজিতের দোরগোড়ায় সব সময়ই নাকি জলের পাত্র ও নকুলদানা রাখা থাকে। কিন্তু কেন জানেন। অরিজিৎ পরোপকারী এটা সকলেই জানেন। তাঁর সমাজ সেবা নিয়েও সবাই অবগত। বাড়ির সামনে জল আর নকুলদানা রাখাও তাঁর পরোপকারের এক উদাহরণ। প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষ নাজেহাল, তখন মানুষের সেবার জন্য এই সিদ্ধান্ত অরিজিতের।
যাতে অরিজিতের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গরমে বিধ্বস্ত, তৃষ্ণার্ত পথচারীরা জল ও নকুলদানা খেয়ে গলা ভেজাতে পারেন। আর এমনিতেই কথিত আছে যে খালি মুখে কাউকে জল দিতে নেই। তাই এই জল-নকুলদানার ব্যবস্থা। এভাবেই অরিজিৎ তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া পথচারীদের অ্যাপায়ন করতে চান। গোটা গরমকালই এই ব্যবস্থা দেখা গিয়েছিল অরিজিতের বাড়ির সামনে।
এত বড় মাপের শিল্পী হয়েও অরিজিৎ-এর পা কিন্তু সর্বদা মাটিতেই থাকে। সঙ্গীত দুনিয়ার সুপারস্টার হলেও, তিনি আজও জিয়াগঞ্জের মানুষই। সেখানেই থাকেন। তাঁর দুই সন্তানও কিন্তু জিয়াগঞ্জে পড়াশোনা করে। বাড়ির সমস্ত কাজ থেকে বাজার করা, আবার হাসপাতাল গঠনের সবকাজ নিজের দায়িত্বেই রাখেন।
তবে অরিজিৎ একেবারেই প্রচার-বিমুখ। ক্যামেরার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন এই গায়ক। নিজের কাজটুকু সেরে অরিজিৎ ফিরে যান তাঁর জিয়াগঞ্জের জীবনে। যেখানে তিনি একেবারেই সাদামাটা জীবন ধারণ করে থাকেন। তাঁর স্ত্রী কোয়েলও গায়কের মতোই একেবারে মাটির মানুষ। একদিকে পাসুরি গান নিয়ে বিতর্ক যেমন হয়েছে তেমনি রকি এবং রানি ছবিতে তাঁর দুটি গান নিদারুণ পছন্দ হয়েছে অনুরাগীদের।