বাংলাদেশের ফাঁড়া যেন কাটছেই না। ফের শিরোনামে ওপার বাংলা। পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। টানা বৃষ্টিতে সিলেট, কুমিল্লা, ফেণী, লক্ষ্মীপুর সহ পূর্ব সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলি প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বাংলাদেশি নেটিজেনদের একটা অংশের অভিযোগ, ভারত নাকি ইচ্ছে করেই বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যদিও দেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এমন একটি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে, যা সঠিক নয়।
পদ্মাপাড়ের এই অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন সকলে। এমনকী বাংলাদেশী তারকারাও নিজেদের সোশ্যাল পেজেও আবেগপ্রবণ পোস্ট করছেন। চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে হেল্পলাইন নম্বর শেয়ার করে সকলকে সচেতন করেছেন। অভিনেতা লিখেছেন, "আসুন…. আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াই। সকলে সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলাবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে, প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইন,মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনা খাবার দিয়ে সাহায্য করুন।"
অন্যদিকে পরীমনি একটি ছবি শেয়ার করেছনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নিরীহ শিশু কাঁধ সমান জলে ডুবে রয়েছে। একরত্তির নিষ্পাপ চোখ, অসহায় চাহনি দেখে মন ভারাক্রান্ত হবে যে কোনও মানুষের। অভিনেত্রী লেখেন, "আল্লাহ! কি করবো আমি! বুকের ভিতর দুমরে মুচরে যাচ্ছে। এই চোখের দিকে তাকিয়ে কি করে ঘুমাবো! আল্লাহ তুমি সহায় হও। কেউ নাই আর এখন…… আমি যাবো। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যা করার করবো ইনশাআল্লাহ।"
প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে পড়শি দেশের। বাংলাদেশ এই পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করছে। ওই দেশের দাবি, ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়ার জন্যেই নাকি বন্যা দেখা দিয়েছে পূর্বের জেলাগুলোতে। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, "ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হচ্ছে। সেদেশে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। যা একেবারেই সত্য নয়। গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের নানা জায়গায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দু'দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা উল্লেখ করতে চাই, ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশের সমতলভূমি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে উচ্চভূমিতে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এখান থেকে কিন্তু বাংলাদেশেও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।"