
শনিবার বিকেল থেকেই টলি ইন্ডাস্ট্রি তোলপাড় শুধু একটা খবরেই। বিচ্ছেদের পথে নাকি সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। সুদীপের স্ত্রী পৃথা তাঁর ফেসবুক পেজে নিজেই ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করেন। আর এই গোটা বিষয়টি নিয়ে নাকি কিছুই জানতেন না অভিনেতা সুদীপ। তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিরসখা শ্যুটিংয়ে। তবে রবিবারই সুদীপ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, পুরোটাই নাকি নিছক রসিকতা ছিল। কিন্তু খানিকক্ষণ পরই সুদীপ তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে সেই ভিডিও যেমন উড়িয়ে দেন তেমনি পৃথাও পোস্ট করেন একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা। তাতে আরও জলঘোলা হচ্ছে সুদীপ-পৃথার সম্পর্ক নিয়ে।
শনিবার পৃথা তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নই। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন। আগামী দিনে আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে থাকব। এই পোস্টের পর থেকেই তারকা দম্পতিকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। কী কারণে তাঁদের দাম্পত্যে চিড়, তা বুঝতে পারছিলেন না কেউই। এমনকী এক সংবাদমাধ্যমকে সুদীপ নিজেই জানিয়েছিলেন যে তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা একই ছাদের তলাতেও রয়েছেন। তবে এইসব জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে সুদীপ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও বার্তায় জানান যে এইসব কিছু শুধুই মজা করার জন্য করেছেন পৃথা।
রবিবার নাটকের মহড়ার মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ পোস্ট করে ভিডিও বার্তায় বলেন যে তাঁর স্ত্রী রসিকতা করে পোস্টটি করেছিলেন। সুদীপ বলেন, পৃথা গতকাল রসিকতা করে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি পোস্ট করে। আসলে চারদিকে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। ওর মনে হয়েছিল, যদি এ রকম কোনও খবর আমাদের নিয়ে হয়, তা হলে কী হবে! বিষয়টা ও খুব একটা ভেবে দেখেনি। বুঝতে পারেনি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। সুদীপ জানান, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ভিডিয়োয় সুদীপ বলেন, ‘‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা এখনও একসঙ্গেই রয়েছি।’’ এরই সঙ্গে অনুরাগীদের কোনও রকমে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন সুদীপ। তাঁদের ইতিবাচক থাকতে বলেছেন তিনি।
কিন্তু এই ভিডিও বার্তার পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণের পরই সুদীপ সেই ভিডিও উড়িয়ে দেন। শুধু তাই নয়, পৃথাও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একের পর এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করতে শুরু করেন। প্রথমে পৃথা পোস্ট করেন, সুধী মহিলারা, ওর নতুন মহিলাটি কখনওই নতুন ছিলেন না। আপনারা জানতেনই না। যদিও এটাকে মজার পোস্ট বলেই দাবি করেছেন সুদীপের স্ত্রী। আর কিছুক্ষণ পর আরও একটি পোস্ট করেন। তা হল, যা দেখা যায়, সেটা সত্য না-ও হতে পারে। কিন্তু যা ঘটে তা দেখতে পাওয়া যায় না। পৃথার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে জল আরও ঘোলা হয়েছে। এমনকী পৃথা তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে সিঙ্গল বলে দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, এই সমাজমাধ্যমই ভালবাসায় জুড়ে দিয়েছিল সুদীপ-পৃথাকে। ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা ঘর বেঁধেছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্ন সুদীপের সঙ্গে। তাঁর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসু। সুদীপ-পৃথার বয়সের ব্যবধানও ২৫ বছর। যদিও তা তাঁদের সুখী দাম্পত্যে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু তারপরও কেন এই ডিভোর্স নাকি পুরোটাই মজা, সেটা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।