প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। শহরের বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হল অভিনেত্রীর। শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আনা হয় অঞ্জনা ভৌমিককে। আইসিইউতে ডঃ জয়দীপ ঘোষের তত্ত্বাবধানে ভর্তি ছিলেন তিনি। রেখে গেলেন দুই কন্যা নীলাঞ্জা ও চন্দনাকে। শনিবার সকাল ১০টা ৩০ নাগাদ মারা যান অঞ্জনা ভৌমিক। অভিনেত্রীর বড় মেয়ে নীলাঞ্জনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে যিশু সেনগুপ্তের। জানা গিয়েছে, যিশু সহ গোটা পরিবার এখন হাসপাতালেই রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন নীলাঞ্জনা-চন্দনার মা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। অভিনেত্রীর ছোট মেয়ে চন্দনা মুম্বইতে থাকেন। অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যুর খবর ছড়াতে শোকস্তব্ধ টলিউড। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত শোকের মূহূর্ত। শাশুড়ির সঙ্গে জামাই যিশুর সম্পর্ক ছিল খুবই মিষ্টি-মধুর। প্রসঙ্গত, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সুন্দরী অভিনেত্রী হিসাবে দারুণ নামডাক ছিল অঞ্জনার। ষাট থেকে আশির দশকের বাংলা সিনেমায় ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। এখনও বহু দর্শক মনে রেখেছেন তাঁকে।
‘চৌরঙ্গী’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘নায়িকা সংবাদ’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। তাঁর এবং উত্তম কুমারের পর্দার কেমিস্ট্রি দর্শকদের ভীষণভাবে প্রিয় ছিল। অঞ্জনা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ডাকনাম বাবলি নামেই পরিচিত ছিলেন। পর্দায় তাঁর ‘বাবলি’ ইমেজেই ডুবে ছিলেন অসংখ্য ভক্ত। মাত্র ২০ বছর বয়সে ‘অনুষ্টুপ চন্দ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রবেশ। পরিচালক পীযুষ বসুর ছবি। মুক্তির আগে নাম পালটে আরতী থেকে অঞ্জনা হয়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রথম ছবিতেই সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। উত্তমকুমারের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা।
নেভি অফিসার অনিল শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন অঞ্জনা। তাঁর দুই কন্যা নীলাঞ্জনা ও চন্দনা। দু’জনেই অভিনেত্রী। সকলেই জানেন নীলাঞ্জনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বাঙালি অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর। তবে বহুবছর আগেই অন্তরালে চলে যান অভিনেত্রী। পারিবারিক অনুষ্ঠান ছাড়া খুব একটা দেখা যেত না তাঁকে। অভিনেত্রীর বড় মেয়ে অভিনয় ছাড়লেও প্রযোজনার কাজে হাত পাকিয়েছেন। তবে চন্দনা এখন আর অভিনয় করেন না।