
দিতিপ্রিয়া রায়পর্দার অপর্ণা বড়লোক ব্যবসায়ী আর্যকে মন দিলেও বাস্তবের দিতিপ্রিয়া কিন্তু চুটিয়ে প্রেম করছেন ফুটবলারের সঙ্গে। কিছুদিন আগেই জন্মদিন পালন করেন দিতিপ্রিয়া। এই বছর ২৩ বছরে পা দিলেন নায়িকা। শ্যুটিংয়ের বাইরে খুবই ঘরোয়া গোছের মেয়ে তিনি। খুব একটা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পার্টি করা, লেট নাইট আড্ডা এইসব কিছুই করেন না। বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজোর মতোই গণেশ চতুর্থীও পালন হয়। আর এই বছর দিতিপ্রিয়ার বাড়িতেই গণেশ চতুর্থী উদযাপন করলেন নায়িকার ফুটবলার প্রেমিকও।
গণেশ চতুর্থীর দিন দিতিপ্রিয়া তাঁর বাড়ির গণেশে পুজোর ছবি শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে গণেশজিকে। ঠাকুররে পিছনের ডেকরেশনও বেশ ভাল। আর গণেশজির সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন দিতিপ্রিয়া। পিচ রঙের শাড়ি ও মেরুন রঙের ব্লাউজ পরেছেন। একেবারে মারাঠি স্টাইলে নাকে বড় নথ পরে ছবি তোলেন দিতিপ্রিয়া। তবে তাঁর শেয়ার করা ছবিতে তাঁর মনের মানুষ নেই। কিন্তু ফুটবলার প্রেমিকের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিতিপ্রিয়ার বাড়ির গণেশের ছবি। আর এটা দেখে বুঝতে কোনও অসুবিধা হয় না যে দুজনে একসঙ্গেই গণেশ চতুর্থী কাটাচ্ছেন।
জন্মদিনের দিনও দিতিপ্রিয়া লাইট-ক্যামেরা ও অ্যাকশন থেকে দূরে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটান। শহর থেকে একটু দূরে বিলাসবহুল রিসর্টে চলে দিতিপ্রিয়ার জন্মদিনের সেলিব্রেশন। ফুটবলার প্রেমিক নায়িকার জন্মদিন উদযাপনে কোনও খামতি রাখেননি। গতবারের জন্মদিনে ফুল ও উপহার পাঠিয়ে দিলেও নিজে প্রেমিকার কাছে আসতে পারেননি দিতিপ্রিয়ার প্রেমিক। কিন্তু এই বছর সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করলেন না। এমনিতে এই কদিনে দিতিপ্রিয়ার ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে, তাই প্রেমিকের সঙ্গে নিরিবিলিতে জন্মদিন পালন করছেন ছোটপর্দার অপর্ণা।

প্রসঙ্গত, গত বছর দোলের দিনই অভিনেত্রী প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিয়েছিলেন। যা দেখে ‘রানি রাসমণি’ খ্যাত দিতিপ্রিয়ার প্রেমের গল্পে শোরগোল পড়ে যায় টলিপাড়ায়। জনপ্রিয় ফুটবলার শমীক মিত্রের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন দিতিপ্রিয়া। তিনি চেন্নাইয়িন এফসি টিমের গোলকিপার। শমীকের বাড়ি আদতে জলপাইগুড়িতে। এই শমীকের ডাকনাম রিভু। দিতিপ্রিয়া-শমীক নাকি একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী যদিও ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে নারাজ। এখনই শমীককে সকলের সামনে আনতে চান না দিতিপ্রিয়া। তবে মাঝে মাঝে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরোক্ষভাবে তিনি জানান দেন খুব সুন্দরভাবেই এগোচ্ছে তাঁদের প্রেমকাহিনী।