
হালফিলের যুগে এখন নিজেকে কম বয়সী দেখানো খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। পকেটে মোটা টাকা থাকলেই আপনি বোটক্স-ফিলার্স করিয়ে নিজেকে সুন্দরী ও বয়স কম দেখাতে পারবেন। বলিপাড়ায় এই ট্রেন্ড বহু বছর ধরেই চলে আসছে। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জাহ্নবী কাপুর থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, দীপিকা পাড়ুকোন সহ একাধিক তারকা। টলিপাড়ায় বোটক্স ও ফিলার্সের প্রবণতা দেখা যায় কয়েক বছর আগেই। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই নিজের ঠোঁট-নাক সুন্দর করতে এই বোটক্স ও ফিলার্স করে থাকেন। টলিপাড়ায় বহু বছর হয়ে গেল কাজ করছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও কি এই বোটক্স ও ফিলার্স করিয়ে নিজের বয়স লোকাতে চান?
বয়স ৪০-এর কোঠা পেরিয়েছে কনীনিকার। এক সন্তানের মাও তিনি। অন্য নায়িকাদের মতো স্লিম-ট্রিম না হলেও কনীনিকার সৌন্দর্য বেশ নজরকাড়া। কিছুদিন আগেই বোল্ড ফটোশ্যুটে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন কনীনিকা। এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন যে বোটক্স করাতেই হবে সেই প্রয়োজনীয়তা তাঁর কোনওদিন মনে হয়নি। তবে নিজের যত্ন, নিজের ত্বকচর্চা করাটা যে জরুরি সেটা তিনি বুঝতে পারেন। ত্বক ভাল থাকলে আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে যায়। তবে তার জন্য হলিউড বা বলিউড নায়িকাদের মতো চামড়া ঝুলে গেলে তা সূচ ফুটিয়ে ঠিক করার মতো সাহস কনীনিকার নেই।
সম্প্রতি ৪০-এর কোঠায় এসে কনীনিকার বোল্ড ফটোশ্যুট নেটপাড়ায় ঝড় তুলেছিল। সেই ছবির ক্যাপশনের কনীনিকা জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বয়স লোকাতে নয় বরং তা সুন্দরভবে উদযাপন করতেই ভালোবাসেন। বোটক্স ও ফিলার্স করানোর অভিযোগ উঠেছে শুভশ্রী, মিমি ও নুসরত জাহানদের ওপর। এঁরা যখনই ছবি দেন তখনই এঁদের এই নিয়ে ট্রোল করা হয়। যদিও তাঁদের মতে, এগুলো সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণাও এই বোটক্স ও ফিলার্স করা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। নায়িকা বলেন, নিজের সৌন্দর্য বিকৃত না করে যেটুকু করা প্রয়োজন সেটুকুই করা উচিত। ঋতুপর্ণাও কোনওদিন এই বোটক্স ও ফিলার্স করাতে পছন্দ করেন না। নাক, ঠোঁট ঠিক করাতে বহু নায়িকাই এই পথে হাঁটলেও কনীনিকা বা ঋতুপর্ণা সেই সাহস দেখাতে পারেননি। কনীনিকাকে এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে রান্নাঘর শো-এর সঞ্চালনায়।