
পুজোর দিন যত এগিয়ে আসে ততই মনের মধ্যে এক অন্য ধরনের আনন্দ দেখা দেয়। পুজো মানেই কাশফুল, মহালয়া, রেডিও আর দূরদর্শন। তবে বেশ কিছু বছর ধরে মহালয়ার ভোর শুধু রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা শুনেই থেমে নেই, চ্যানেলে চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দিনী শুরু হয়ে যায়। যার প্রস্তুতি চলছে এখন থেকেই। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই জি বাংলা ও স্টার জলসায় দুর্গারূপে কাকে দেখা যাবে, তা প্রকাশ্যে এসেছে। বাকি চ্যানেলে দুর্গা কে হচ্ছেন, তা নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। তারই মাঝে জানা গেল সান বাংলায় মহিষাসুরমর্দিনী কে হবেন?
এই বছর সান বাংলায় মহালয়ার দিন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অকাল বোধন। আর এই চ্যানেলে বহু বছর পর মহিষাসুকমর্দিনী রূপে ফের দেখা যাবে পায়েল দে-কে। পায়েল ছোটপর্দার খুবই জনপ্রিয় মুখ। একাধিক সিরিয়ালে তাঁকে প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, পায়েল বহুবার দূর্গারূপে টেলিভিশনের পর্দায় এসেছেন। তবে মাঝে কিছু বছর তাঁকে এই চরিত্রে দেখা না যাওয়ায় দর্শকদের মন খারাপই হয়েছিল। মা দুর্গারূপে ফের অভিনয় করতে পেরে অভিনেত্রী নিজেও খুশি। পায়েল জানিয়েছেন এখন জোর কদমে মহড়া চলছে।
‘অকাল বোধন’-এর গল্প অনেকটা এই রকম–ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র আর রাবণের যুদ্ধে যখন দেবীর আশীর্বাদে রাবণ প্রায় যুদ্ধ জয়ের দিকে এগোচ্ছে, তখন বেগতিক দেখে ব্রহ্মার পরামর্শে রামচন্দ্র দেবী দুর্গাকে অকাল বোধন রূপে আরাধনা শুরু করেন। দেবী ভক্তের ভক্তি পরীক্ষা করার জন্য পুজোর একটা পদ্ম লুকিয়ে রাখে। পুজোয় পদ্ম কম পরছে দেখে রামচন্দ্র নিজের চোখ তির মেরে অর্পণ করতে চাইলে দেবী খুশি হয়ে পদ্ম ফুল ফিরিয়ে দেন এবং রামকে যুদ্ধ জয়ের আশীর্বাদ করেন। হনুমান রামচন্দ্রের কাছে দেবী মহিমা জানতে চাইলে রামচন্দ্র তাদের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন,এভাবেই আমরা দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ দেখি। অন্যান্য চরিত্রে সান বাংলা পরিবারের সদস্যরাই অভিনয় করছেন।
পায়েল দে-কে সান বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে-তে আলোর ভূমিকায় অভিনয় করছেন পায়েল। অভিনেত্রীর এই চরিত্র ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্টার জলসায় এই বছর ফের কোয়েল মল্লিককেই দেখা যাবে দুর্গার ভূমিকায়। অপরদিকে, জি বাংলায় ইধিকা পাল মহিষাসুরমর্দিনী হবেন। এই বছর শুভশ্রীকে দেখা যাবে না মা দুর্গারূপে। 'অকাল বোধন' মহালয়ার দিন ভোর বেলায় সান বাংলার পর্দায় দেখা যাবে।