scorecardresearch
 

Sreelekha-Ranjith: পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, এবার পুলিশের দ্বারস্থ শ্রীলেখা

Sreelekha-Ranjith: শ্রীলেখার অনুমতি ছাড়া তাঁর শরীর স্পর্শ করেছেন মালয়ালি পরিচালক ও কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধান রঞ্জিত। শনিবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের জেরে কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পরিচালক রঞ্জিত।

Advertisement
শ্রীলেখা-রঞ্জিত শ্রীলেখা-রঞ্জিত
হাইলাইটস
  • শ্রীলেখার অনুমতি ছাড়া তাঁর শরীর স্পর্শ করেছেন মালয়ালি পরিচালক ও কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধান রঞ্জিত।

শ্রীলেখার অনুমতি ছাড়া তাঁর শরীর স্পর্শ করেছেন মালয়ালি পরিচালক ও কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধান রঞ্জিত। শনিবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের জেরে কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পরিচালক রঞ্জিত। তবে এখানেই থেমে থাকেননি শ্রীলেখা। তিনি পরিচালকের অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে এবার আইনি পদক্ষেপ নিলেন। 

জানা গিয়েছে, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রাক্ত চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান রঞ্জিতের বিরুদ্ধে শ্রীলেখা কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেল করে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগে শ্রীলেখী জানিয়েছেন যে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন পরিচালক। এই নিয়ে সরব হয়েছেন কেরলের যুব কংগ্রেসও। তারাও এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার শ্রীলেখার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পরই কেরলের সংস্কৃতি বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী সাজি চেরিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন রঞ্জিত। সেখানে পরিচালক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

শ্রীলেখা তাঁর অভিযোগে বলেন যে ২০০৯ সালের ‘পালেরি মনিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’-এর অডিশনের সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন পরিচালক রঞ্জিত। অভিনেত্রী বলেন, আমি এক সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। রঞ্জিত হঠাৎই আমাকে ডেকে নিয়ে যান ওঁর শোয়ার ঘরের দিকে, ছবির গল্প বলার জন্য। আমি ভাবলাম, ভিড় এড়ানোর জন্য তিনি ডাকছেন। ঘরটি বেশ অন্ধকার ছিল। আমি ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আমার হাতের চুড়িগুলি নিয়ে খেলতে লাগলেন পরিচালক। আমরা মহিলারা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝি। আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। কারণ, আমার সঙ্গে তেমন কোনও বন্ধুত্বও ছিল না ওঁর। কিন্তু, আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তার পরে তিনি আমার ঘাড়ে ও চুলে হাত দিতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।

আরও পড়ুন

Advertisement

তবে শ্রীলেখার এই অভিযোগকে মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন রঞ্জিত। পরিচালক বলেন, বাঙালি অভিনেত্রী, শ্রীলেখা মিত্র খুব গুরুতর ব্যক্তিগত অভিযোগ এনেছেন আমার বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন হচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমি যখন কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন থেকে একদল লোক দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে (শ্রীলেখার) এই অভিযোগকে সকলের সামনে নিয়ে আসার, এটা তারই ফল। পরিচালক আরও জানান যে এই অভিযোগের ফলে তাঁর ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এটা হয়ত সহজ নয়, কিন্তু পরিচালক প্রমাণ করবেন এই সব অভিযোগ মিথ্যে।  পরিচালক শ্রীলেখাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যেটা বলছেন সেটা মিথ্যে আর নয়তো এটা কোনও মিথ্যে অভিযোগের অংশ। রঞ্জিত বলেন, এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। আমি এর বিশদ বিবরণে যাচ্ছি না। যাই হোক, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পেছনের সত্যটা আমাকে জানতে হবে।

জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্টকে (Justice Hema Committee report) কেন্দ্র করে তোলপাড় মালয়ালম চলচিত্র জগৎ। শোনা যায়, এই রিপোর্টে সেখানকার বিনোদন জগতের একাধিক কাস্টিং কাউচ, যৌন হেনস্তা ও পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা লেখা রয়েছে। প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা মিত্রের এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, সিপিআই। তারা গোটা বিষয়টির তদন্ত চেয়েছে, যার ফলে জাস্টিস হেমা কমিটি এই নিয়ে তদন্ত করে। 

Advertisement