চলতি বছরের জানুয়ারিতেই বিয়ের জল পড়েছে রুবেল ও শ্বেতার গায়ে। আর হিসেব মতো রবিবার ছিল তাঁদের প্রথম জামাইষষ্ঠী। তাই জামাই আদরে যে শ্বেতার মা কোনও ত্রুটি রাখবে না এটা সকলেরই জানা ছিল। বিয়ে আগে শ্বেতার বাড়িতে বহুবার কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার সুযোগ হলেও জামাইষষ্ঠীর দিন ব্যাপারটা পুরোটাই আলাদা। রুবেল তাঁর প্রথম জামাইষষ্ঠীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। যেখানে শাশুড়ি মা তাঁকে থালা সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করেছেন।
টেলি দুনিয়ায় রুবেল দাস খুবই পরিচিত মুখ। একাধিক সিরিয়ালে হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা। সিরিয়ালে বহুবার জামাই সেজে জামাইষষ্ঠী পালন করলেও বাস্তবে এই অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্যরকম। রুবেল বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাঁকে শ্বেতার মা ফল-মিষ্টি, ধান-দুব্বা দিয়ে আশীর্বাদ করছেন। হাতে তুলে দিচ্ছেন ফলের প্লেট সঙ্গে রুবেলের পছন্দের একটি টি-শার্ট। এদিন অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে একেবারে ঘরোয়া মেজাজেই। শাশুড়ির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন নতুন জামাই।
এরপরই শাশুড়ির দেওয়া টি-শার্টটি পরে নেন রুবেল। এবার পালা খাওয়া-দাওয়ার। একেবারে ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ারই ব্যবস্থা করা হয়েছিল শ্বেতার বাড়িতে। রুবেল যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁর থালায় দেখা গিয়েছে ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা, শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, দই কাতলা, ইলিশ মাছের ঝোল, মাটন কষা, মোচা চিংড়ি, দই ও মিষ্টি। অভিনেতাদের নিয়মিত ডায়েটে থাকতে হয়। কিন্তু জামাইষষ্ঠীর দিনে শাশুড়ি কোনও রকম বাহানা শুনতে নারাজ। সুতরাং সবকিছুই একটু একটু করে খেতে হয়েছে রুবেলকে। যদিও এই ছবিগুলিতে শ্বেতাকে দেখা যায়নি, তবে মনে হচ্ছে ছবিগুলো শ্বেতাই তুলেছেন। রুবেল এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, শাশুড়ি আমার হিট, সবার সঙ্গে ফিট, এ যে শাশুড়ি নম্বর ১। প্রথম জামাইষষ্ঠী, জামাই আদর, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া আর উপহার।
ছোটপর্দায় ব্যস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী রুবেল ও শ্বেতা। শনিবার সারারাত শ্যুটিং থাকায় তিনি সেভাবে মায়ের সাহায্য করতে পারেনি। তবে শরীর খারাপ নিয়েই শ্বেতার মা যাবতীয় আয়োজন করেছেন জামাই রুবেলের জন্য। উল্লেখ্য, গত বছরেও জামাইষষ্ঠীর দিনে রুবেলকে আপ্যায়ন করে খাইয়েছিলেন শ্বেতার মা। তখনও অবশ্য তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসেনি। এই মুহূর্তে রুবেলকে দেখা যাচ্ছে তুই আমার হিরো-তে আর শ্বেতা অভিনয় করছেন কোন গোপনে মন ভেসেছে সিরিয়ালে।