scorecardresearch
 

Bengali Horror Movie: বাংলায় ভূতের ৬টি সিনেমা, রাতে বাথরুম যেতেও ভয় লাগতে পারে, ভূত চতুর্দশী স্পেশাল

Bengali Horror Movie: ভূতের সিনেমা বলতে প্রথমেই মাথায় আসে হলিউডের কথা। এক্সরসিস্ট (Exorcist), সাইকো (Psycho), ড্রাকুলা (Dracula), দ্য ইভিল ডেড (The evil dead)। এই সিনেমাগুলো আমাদের মনে দাগ কেটে দিয়ে গিয়েছে।

Advertisement
টলিউডে ভূতের ছবি টলিউডে ভূতের ছবি
হাইলাইটস
  • ভূতের সিনেমা বলতে প্রথমেই মাথায় আসে হলিউডের কথা।
  • ভূতের সিনেমার প্রতি আকর্ষণ আলাদা মাত্রায়।

ভূতের সিনেমা বলতে প্রথমেই মাথায় আসে হলিউডের কথা। এক্সরসিস্ট (Exorcist), সাইকো (Psycho), ড্রাকুলা (Dracula), দ্য ইভিল ডেড (The evil dead)। এই সিনেমাগুলো আমাদের মনে দাগ কেটে দিয়ে গিয়েছে। সিনেমাগুলো দেখলে রাতে ঘুমানো মুশকিল হয়ে যেত। তবুও ভূতের সিনেমার প্রতি আকর্ষণ আলাদা মাত্রায়। বুধবার ভূত চতুর্দশী আর এইদিন যদি বাংলা ভূতের সিনেমাগুলো দেখতে চান, তাহলে তালিকায় এই সিনেমাগুলি রাখতেই পারেন। 

মণিহারা
১৯৬১ সালে তৈরি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা তিনকন্যার মধ্যে একটি গল্প মণিহারা। গল্পটি লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। একজন স্কুল শিক্ষক শুরু করেন গল্পটি বলা। গল্পটি ছিল এক জমিদারকে নিয়ে। তাঁর স্ত্রী মণিমালিকার সোনার গয়নার প্রতি ছিল ভীষণ আকর্ষণ। একসময় স্বামীর টাকাপয়সার সমস্যা হতেই সে তাঁর সেই শখের গয়না দিয়ে দেন স্বামীকে। তারপর থেকে আর মণিহারাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই জমিদার স্ত্রীয়ের কষ্টে তার জন্য কিনে আনেন নতুন এক গয়নার বাক্স, যাতে সে ফিরে আসে। কিন্তু ঠিক সময়ই শোনা যায় মণিমালিকার কণ্ঠে এক সাংঘাতিক হাড়হিম করা হাসি। শেষে দেখা যায় যে গল্প বলছে সে আর কেউ নয়, সেই জমিদারই। কেন বা কীভাবে ওনার স্ত্রী হারিয়ে গেছিল, তা নিয়েই এই গল্প। ভূত ও থ্রিলারের সংমিশ্রণে তৈরি সিনেমাটি।

কঙ্কাল
১৯৫০ সালে নরেন্দ্র মিত্রর পরিচালনায় এই সাদা কালো ভূতের সিনেমাটি সেসময় বেশ সাড়া ফেলেছিল। অভিনয়ে ছিলেন পরেশ ব্যানার্জি, মলয়া সরকার-সহ তাবড় তাবড় অভিনেতারা। গল্পটি শুরু হয় তরলা ও বড়লোক বাড়ির ছেলে রতনের বিয়ে নিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর তরলার জীবনে ফিরে আসে পুরনো প্রেমিক অভয়। তরলা অভয়কে বিয়ে করেনি কারণ ছেলেটির টাকাপয়সার অভাব ছিল। তাই তরলার বিয়ের পর অভয় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তরলাকে ধর্ষণ করতে যায়। কিন্তু এতেই ঘটে বিপদ, মৃত্যু হয় তরলার। অভয় তরলাকে ফেলে দেয় নদীর জলে। এরপরই মৃত্যুর পর ফিরে আসে তরলা এবং ঘটতে থাকে নানা ধরণের অলৌকিক ঘটনা।

আরও পড়ুন

Advertisement

যেখানে ভূতের ভয়
সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ের তৈরি এই সিনেমা। এতে আছে মোট চারটি গল্প। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প ‘ভূত ভবিষ্যৎ’ ও সত্যজিৎ রায়ের ‘ব্রাউন সাহেবের বাড়ি’, ‘অনাথ বাবুর ভয়’, ‘লখনউ-এ ডুয়েল’। তিনটেই বেশ অন্য ধরনের ভয়ের গল্প। একের পর এক দেখলে কিন্তু আপনার ভয় লাগতে বাধ্য! 

ড্রাকুলা স্যার
দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় অনির্বান ভট্টাচার্য অভিনীত এই সিনেমাটি। এটি পুরোপুরিই একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এই ধরণের হরর সিনেমা তৈরি হয়নি। গল্পটি তৈরি হয়েছে স্কুলের বাংলার শিক্ষক অনির্বাণকে ঘিরে। হাসলেই দু'পাশে দু'টো গজ (canine) দাঁত বেরিয়ে আসে ঠিকরে। ভ্যাম্পায়ারের থেকে কম ভয়ের কিছু লাগছিল না তাকে দেখতে। তাকে নিয়ে লাগাতার হাসিঠাট্টায় ধীরে ধীরে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে ওঠে।

গল্প হলেও সত্যি
গল্পটা একজন পিৎজা ডেলিভারি বয় রুদ্র (সোহম) ও তার প্রেমিকা অনুরাধার (মিমি)। লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। টাকাপয়সার অভাবে সংসার চালানোই হয়ে ওঠে মুশকিল। এরকম একটা পরিস্থিতিতে একদিন পিৎজার বাক্সে রুদ্র খুঁজে পায় এক থলি হীরে। রুদ্র বুঝতে পারে না এতগুলো হীরে নিয়ে সে কী করবে! এরপরই অনুরাধা বুদ্ধি দেয় রুদ্রকে। পিৎজা ডেলিভারির শেষে হীরে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কিন্তু ডেলিভারি করতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন রুদ্র। যার জেরে অনুরাধার অস্তিত্ব নিয়েই রুদ্রর মনে তৈরি হয় প্রশ্ন।

ভূতের ভবিষ্যৎ
২০১২ সালে অনীক দত্তের এই সিনেমা সারা বাংলায় দারুণ সাড়া ফেলেছিল। সিনেমার গল্পটি ছিল একটি পুরনো ভগ্নদশা বাড়ি নিয়ে। যেখানে থাকে বেশ কিছু ভূত। সারা শহরের সব পুরনো বাড়ি ভেঙে তৈরি হচ্ছে শপিং মল। ভাঙা পড়েনি এই একটাই। আর তাতেই আস্তানা গেঁড়েছে ভূতের দল। সেই ভূত ও প্রোমোটারকে নিয়েই এই ছবির গল্প। সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীরা।  

TAGS:
Advertisement