মাস কয়েক আগেই বিপাশা বসু নেহা ধুপিয়ার এক লাইভ শো-তে এসে জানিয়েছিলেন তাঁর কন্যা দেবী জন্মেছিলেন হার্টে ফুটো নিয়ে। আর সেই কারণেই বিপাশা-কন্যার তিন মাস বয়সেই ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। মেয়ের এই কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন বিপাশা। তবে সেই মেয়ে এখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। আর দীপাবলির দিনই বিপাশা ও করণের মেয়ে দেবী এক বছরে পা দিল। তবে দেবীর এই বিশেষ দিনটি মুম্বইতে না কাটিয়ে বিপাশা ও করণ তাঁদের মেয়েকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন মলদ্বীপে। সেখানেই পালন হল একরত্তির গ্র্যান্ড জন্মদিন।
বিয়ের বেশ কিছু বছর পরই মা হওয়ার সুখ পান বিপাশা। তারওপর দেবীর জন্মের পরই এই ধরনের কঠিন রোগ, মা হিসাবে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন নায়িকা। বাড়িতেও দেবীর এই রোগের বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি। অস্ত্রোপচারের পর এখন অবশ্য দেবী একেবারে সুস্থ, তার নজির দেখা যায় প্রায়ই বিপাশা ও করণের ইনস্টাগ্রাম পেজে। দীপাবলির দিন কন্যার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাঙালি নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁর মা হওয়ার প্রথম মুহূর্তের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে চোখ বন্ধ অবস্থায় শুয়ে বিপাশা আর করণের কোলে রয়েছে সদ্য়োজাত দেবী। করণ বিপাশার সামনে এনে দেবীকে দেখাচ্ছেন।
বিপাশা এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এই তো কদিন আগেও আমার গর্ভে ছিল। এখন তোমার একবছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমি তোমার সঙ্গে আরও অনেক এ রকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে চাই। দীপাবলির দিনই তোমার জন্মদিন। সত্যিই তুমি আমাদের মা, তুমি ঠিক যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ।' দেবীর জন্মদিনের আগেই মলদ্বীপে উড়ে গিয়েছিলেন বিপাশা-করণ ও দেবী। সেখানেই দীপাবলির দিন দেবীর জন্মদিন পালন হয়। এদিন দেবী পরেছিল গোলাপি রঙের ফ্রক ও মাথায় ছিল ব্যান্ড। বিপাশা ও করণ মলদ্বীপের যে রিসর্টে রয়েছেন সেখানেই দেবীর জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। গোলাপি বেলুনে সাজানো হয় পুরো ঘর, সঙ্গে ছিল গোলাপি রঙের কেক। না কোনও জন্মদিনের পার্টি নয়, মা-বাবার সঙ্গেই প্রথম জন্মদিন পালন করল দেবী।
মলদ্বীপে সমুদ্রের বালিতেই দেবীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল সুন্দর কাসেল। সেখানেই মা ও বাবার সঙ্গে খেলা করল একরত্তি। সেই ভিডিও শেয়ারও করেছেন বিপাশা। শুধু তাই নয়, এইদিন দীপাবলির পুজোও মলদ্বীপে দেবীকে দিয়ে করায় বিপাশা। মলদ্বীপে দেবীর সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন বিপাশা ও করণ। খুব শীঘ্রই মুম্বইতে ফিরবেন তাঁরা এবং এখানে গ্রযান্ড জন্মদিন পালন করা হবে দেবীর।