scorecardresearch
 

Pankaj Tripathi: বিয়ের ২০ বছর পার, বাঙালি বউমাকে আজও মানতে পারেননি পঙ্কজ ত্রিপাঠীর মা

Pankaj Tripathi: বলিউডের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যিনি নিজের অভিনয়ের জোরে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বড়পর্দা হোক বা ওয়েব সিরিজ, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করে। তিনি আবার এই বাংলার জামাই, তাই বাঙালিদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক।

Advertisement
পঙ্কজ-মৃদুলা পঙ্কজ-মৃদুলা
হাইলাইটস
  • বলিউডের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
  • তিনি আবার এই বাংলার জামাই, তাই বাঙালিদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক।

বলিউডের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যিনি নিজের অভিনয়ের জোরে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বড়পর্দা হোক বা ওয়েব সিরিজ, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করে। তিনি আবার এই বাংলার জামাই, তাই বাঙালিদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। আসলে অভিনেতার স্ত্রী মৃদুলা বাঙালি কিন্তু বিয়ের ১৯ বছর পরও বাঙালি বউমাকে মেনে নেননি পঙ্কজের মা। এই নিয়ে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজের স্ত্রী জানিয়েছেন যে তাঁর ও পঙ্কজের প্রেম করে বিয়ে আর সেই কারণেই তাঁর শাশুড়ি তাঁকে আজও মেনে নিতে পারেননি। তার অন্যতম কারণ সেই সময়কার সামাজিক পরিস্থিতি।  

অতুল ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মৃদুলা বলেন যে তিনি দুই পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও পঙ্কজকে বিয়ে করার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। মৃদুলা জানান যে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পঙ্কজের বোনের বিয়ে হয়েছিল আর সেই বিয়েতেই অভিনেতার সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ। মৃদুলাকে দেখেই ভালো লেগে গিয়েছিল পঙ্কজের। এদিকে পঙ্কজদের বাড়ির মেয়ের বিয়ে হয় মৃদুলার বাড়িতে। অর্থাৎ পঙ্কজ তখন মৃদুলার বউদির বাড়ির সদস্য। মৃদুলা ও পঙ্কজ দুজনেই জানতেন যে এই সম্পর্ক দুই বাড়ি থেকেই মেনে নেবে না। কারণ মৃদুলার পরিবার ছিল উচ্চ বংশের। মৃদুলা জানান, সেই সময় মনে করা হত যে নিজেদের থেকে উচ্চকূলেই কন্যাদান করা উচিত। আর সেই পরিবার থেকে কখনও কোনও মেয়েকে বধূ হিসেবে আর নিয়ে আসা উচিত নয়। তাকে অবনমন বলে মনে করা হত। পঙ্কজ-মৃদুলার সম্পর্ক রক্তের ছিল না। কিন্তু মৃদুলার শাশুড়ি আজ পর্যন্ত তাঁকে বউমা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।  

ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

মৃদুলা তখন নবম শ্রেণীতে পড়তেন এবং পঙ্কজ ক্লাস ইলেভেনে, সেই সময় থেকেই তাঁরা একে-অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন। পরে মৃদুলার অন্য একজনের সঙ্গে প্রায় বিয়ে ঠিকই হয়ে যায় সেই সময় মৃদুলা তাঁর বাবাকে পঙ্কজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানান। মৃদুলার বাবা মেয়ের কাছে এটা শুনে জানিয়েছিলেন যে তিনি কেন আগে এটা তাঁকে জানাননি। যদিও মৃদুলার মা ও বউদি এটা শুনে খুব একটা খুশি হননি। পঙ্কজের স্ত্রী জানান যে এই সম্পর্ককে মানতে অনেকেরই সময় লেগেছিল। কিন্তু আজ বিয়ের এত বছর পরও তাঁকে তাঁর শাশুড়ি মেনে নিতে পারেননি। তবে মৃদুলা জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই এই বিয়েতে অত্যন্ত খুশি ছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই তাঁকে বউমা হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। কারণ শিক্ষিত মেয়ে তিনি খুবই পছন্দ করতেন।    

আরও পড়ুন

Advertisement
ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

২০০৪ সালে পঙ্কজ ও মৃদুলা বিয়ে করেন। যদিও এখন দুই পরিবারই তাঁদেরকে নিয়ে অত্যন্ত খুশি। তবে মৃদুলা বলেন, আমার শাশুড়ি আজও আমাকে বউমা হিসাবে মেনে নিতে পারেননি। তিনি এখনও এই মিশ্রিত সম্পর্কে বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু এখন তো এটা নিয়ে কিছুই করার নেই আমাদের। ২০০৬ সালে তাঁদের প্রথম কন্যা আসে, যার নাম আসি ত্রিপাঠী। 

Advertisement