ফের একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত রণধীর-ববিতারকরিনা ও করিশ্মা কাপুরের মা-বাবা তথা অভিনেতা রণধীর কাপুর ববিতা বহু বছর আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের ছাদ আলাদা হলেও ডিভোর্স কোনওদিন হয়নি। তবে এত বছর আলাদা থাকার পর এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে জীবনের শেষ কয়েকটা বছর তাঁরা একসঙ্গেই কাটাবেন। রনধীর কাপুর ও ববিতার এই বড় সিদ্ধান্তে অবশ্যই খুশি করিনা ও করিশ্মা দুজনেই। এই খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন তাঁদের ছোট মেয়ে করিনা কাপুর।
কী বললেন করিনা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুর তাঁর অভিভাবকদের ফের একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সকলের অভিভাবই পৃথিবীর সেরা অভিভাবক হয়ে থাকেন। আর আমার মা-বাবাও দুনিয়ার সেরা অভিভাবক। এখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা ফের একসঙ্গে থাকবেন হাতে হাত রেখে, যেখান থেকে তাঁরা তাঁদের সফর শুরু করেছিলেন। আর তাই তাঁরা এখন একসঙ্গে থাকতে চাইছেন। করিনা এও জানান যে সন্তান হিসাবে বরাবর তিনি ও তাঁর দিদি চেয়েছেন তাঁদের মা-বাবা আবার একসঙ্গে থাকুক। বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা আবার পরস্পরের সঙ্গী হোন।
রণধীর-ববিতার আলাদা হওয়া
রণধীর-ববিতার আবার এক ছাদের নীচের ফিরে আসাকে করিনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে বর্ণনা করেছেন। রনধীর ও ববিতার প্রেম গড়ে ওঠে সিনেমায় কাজ করার সময় থেকেই। কাল আজ অউর কাল ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একে-অপরের প্রেমে পড়েন ববিতা ও রনধীর। কিন্তু রণধীরের সঙ্গে বিয়ের পর কাপুর পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী ববিতাকে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার ছেড়ে দিতে হয়। এই সিদ্ধান্তই ছিল তাঁদের সম্পর্কের প্রথম চ্যালেঞ্জ।
আইনি বিচ্ছেদ হয়নি
অনেক বছর ধরে বনিবনা ছিল না তাঁদের। তবে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি। ১৯৮৮ সাল থেকে ছাদ আলাদা করে নিয়েছিলেন রাজ কাপুরের বড় ছেলে-বৌমা। যদিও পারিবারিক যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকেন। ছবি তোলেন সুখী দম্পতির মতোই। ববিতার কাছেই থাকতেন তাঁর দুই মেয়ে করিনা ও করিশ্মা। কিন্তু বাবা রণধীরের স্নেহ থেকে কোনওদিনই বঞ্চিত হননি দুই মেয়ে। কিছুদিন আগেই করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যু হয়েছে। সেই সময়ই মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনির কাছে সব সময়ই ছিলেন রণধীর ও ববিতা।