আরবাজের পর এবার সোহেল খান। ঘর ভাঙতে চলেছে সলমান খানের আরও এক ভাইয়ের। ২৪ বছরের দাম্পত্য় জীবন এবার হয়তো পাকাপাকিভাবে সমাপ্ত হতে চলেছে সোহেল এবং তাঁর স্ত্রী সীমার। একাধারে অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল খান এবং তাঁর স্ত্রী ডিজাইনার সীমা খান শুক্রবার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। ফলে তাঁরা যে আলাদা হতে চাইছেন তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ অবশিষ্ট নেই।
এই দম্পতি ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। মুম্বাইয়ের পারিবারিক আদালত থেকে দুজনকে বের হতে দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন রয়েছে। সীমা খান 'দ্য ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস'-এর একটি পার্ট ছিলেন যেখানে দম্পতিকে আলাদাভাবে বসবাসকারী হিসাবে দেখানো হয়েছিল। সীমা পরে তাদের বিয়েকে 'অপ্রচলিত' বলে অভিহিত করেছিলেন এবং বলেছিলেন, "আমি শুধু এতটুকুই বলব, আপনি শোতে যা দেখছেন তা পরম সত্য। আমি এটি সম্পর্কে বলতে চাই এটা ঠিক।"
শোতে, তিনি তাঁদের বিয়ের চারপাশে জল্পনা-কল্পনার সমাধান করেছিলেন। “এটা ঠিক যে কখনও কখনও আপনি যখন এগিয়ে যান, তখন আপনার সম্পর্কগুলি খারাপ হয় এবং ভিন্ন দিকে চলে যায়। আমি এটার জন্য কোনও ক্ষমা চাই না কারণ আমরা খুশি এবং আমার বাচ্চারা খুশি। সোহেল আর আমার গতানুগতিক বিয়ে নয়, আমাদের একটা পরিবার। আমরা একটি ইউনিট. আমাদের জন্য, তিনি এবং আমি এবং আমাদের সন্তানরাই দিনের শেষে গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি বলেছিলেন।
বলিউড সুপারস্টার সলমান খান নিজে বিয়ে না করলেও তাঁর দুই ভাই দীর্ঘদিন আগেই বিবাহিত। মেজভাই আরবাজ খান-মালাইকা আরোরার হাইপ্রোফাইল বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। তার চেয়ে বেশি প্রিন্ট ও রিল খরচ হয়েছে তাঁদের ততোধিক হাইভোল্টেজ ডিভোর্স নিয়ে। আরবাজ যেমন নতুন সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তেমনই মালাইকাও তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট অর্জুন কাপুরকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে সোহেল-সীমার মধ্য়ে দীর্ঘদিন ধরেই ডিভোর্সের গুঞ্জন ছিল। এদিন কার্যত তা সিলমোহর পড়ে গেল।