তিনি বরাবরই রাখঢাকহীন। তাঁর গানও যেমন বহু বহু অব্যবস্থাকে চাবকেছে। তেমন তাঁর কথাও সরাসরি আঘাত করে ক্ষমতার অলিন্দকে। অবাধে মাস্কবিহীন উদ্দাম জনতা ভোটরঙ্গে নেচে উঠলে সেখানে করোনা ছড়ায় না। কিন্তু গানের অনুষ্ঠানে করোনা যেন ওঁত পেতে বসে আছে। সেখানে শিল্পী থেকে দর্শক-শ্রোতা সকলেরই ঘাড়ে থাবা বসাতে উদ্যত মহামারী। উত্তর কলকাতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে এমনটা জানালেন শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty).
সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যন্ত্রশিল্পীদের সাহায্যের হাত বাড়ালেন নচিকেতা। ১১০ জন শিল্পীর হাতে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন যত দিন না পুরোদমে অনুষ্ঠআন শুরু হচ্ছে তত দিন এই দুর্দশার ছবি বদলাবে না। সাময়িক সাহায্যে খুব বেশি দিন সংসার চালানো সম্ভব নয়। গোটা দেশ মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ শিল্পী এই সংকটের শিকার। শুধু গান নয়, অভিনয় থেকে সমস্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চিতর্টা আলাদা নয়। বহু জুনিয়র আর্টিস্ট, মেক-আপ আর্টিস্ট, প্রোডাকশনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা সকলেই মহামারীর ফলে ভীষণ ভাবে সমস্যায় পড়েছেন।
নচিকেতার কথায়, 'আমাদের নিয়ে কেউ খুব একটা ভাবে না। অনুষ্ঠান কিছুতেই শুরু হচ্ছে না। ওখানে নাকি করোনা থাবা বসানোর জন্য আগ বাড়িয়ে বসে রয়েছে। অনুষ্ঠান হলেই সকলকে আক্রমণ করবে। একটা জিনিস বুঝতে হবে, যত দিন না অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে সঠিক সুরাহার পথ কিন্তু পাওয়া যাবে না।' তাঁর আশা এ বিষয়ে শীঘ্রই সদর্থক পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যাবে।