
দেব-পায়েলের আই লাভ ইউবর্তমানে দেব মানেই তাঁর সিনেমা সুপার হিট। অন্তত গত একবছরের ফলাফল তো তাই বলছে। খাদান, ধূমকেতু, রঘু ডাকাত পরপর এই ৩টে ছবি বক্স অফিসে দারুণ হিট। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের ফিসফাস, দেব যে ছবিতেই হাত দেন তাতেই সোনা ফলে। যদিও সুপারস্টার দেবের শুরুর দিকের সফর এত ভাল ছিল না। অনেক সংঘর্ষের পর অভিনেতা আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। তবে এখনকার ছবির মতোই দেবের দ্বিতীয় ছবি আই লাভ ইউ দারুণ হিট করেছিল। জানেন এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন কত ছিল?
২০০৫ সালে দেব টলিউডে প্রথম পা রাখেন 'অগ্নি শপথ' সিনেমার মাধ্যমে। বিপরীতে ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ছবি ফ্লপ হয়। এই ছবি বক্সঅফিসে মুখ একেবারেই ছাপ ফেলতে পারেনি। এরপর ২০০৭ সালে দেবের দ্বিতীয় ছবি 'আই লাভ ইউ'

মুক্তি পায়। দেবের বিপরীতে ছিলেন নবাগতা পায়েল সরকার। এই ছবির পরিচালনা করেছিলেন রবি কিনাগি। দেবের এই ছবি তাঁকে রাতারাতি স্টার বানিয়ে দেয়। তাঁর কেরিয়ারে এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক ছবি হিসাবে বিবেচিত। দেবের প্রথম ঝলকেই তাঁর হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগী তৈরি হয়ে যায়।

শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর ব্যানারে প্রযোজিত এই ছবিটি ২০০৫ সালের তেলুগু চলচ্চিত্র নুভোস্তান্তে নিনদান্তানা-র রিমেক। এছাড়াও, এর কাহিনি কিছুটা ১৯৮৯ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র ম্যায়নে প্যার কিয়া-র সঙ্গে মিল রয়েছে। দেবের রাহুল চরিত্রটি সেই সময় মেয়েদের মনে দারুণ ছাপ ফেলেছিল। উপরন্তু এই ছবির প্রতিটা গানই হিট হয়েছিল। যা আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। বক্স অফিসে এই ছবি দারুণ আয় করেছিল সেই সময়।
সেই সময় বাণিজ্যিক ছবির রমরমা তুলনামূলকভাবে বেশি। জিৎ-প্রসেনজিৎ, অঙ্কুশ-হিরণ সকলেই বাণিজ্যিক ছবি করছেন চুটিয়ে। আই লাভ ইউ ছবির মাধ্যমে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছিল নতুন এক নায়ক, যে অ্যাকশনও পারে আবার রোম্যান্সও, নাচেও অসাধারণ। দেব ছিল সেই পুরো প্যাকেজ। তাই দেবের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠতে খুব একটা সময় লাগেনি। বক্স অফিসে আই লাভ ইউ দারুণ ব্যবসা করেছিল সেই সময়।

২০০৭ সালের ১২ জুলাই মুক্তি পেয়েছিল আই লাভ ইউ। যা বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। রবি কিনাগি পরিচালিত এই ছবিটি সেই ছবিটি ৫ কোটি টাকা আয় করেছিল। প্রতিটি সিনেমা হলই ছিল দর্শকে ঠাসা। সকলেই ভিড় জমিয়েছিলেন নতুন এই নায়ককে দেখতে। এই ছবিটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করে এবং দেবকে তরুণ দর্শকদের প্রিয় তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।