দক্ষিণের পাওয়ার কাপল ধনুষ-ঐশ্বর্য, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে। ২০২২ সালে যৌথ বিবৃতিতে দু'জনেই সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন আলাদা হওয়ার কথা। দু’বছর ধরে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিল। অবশেষে ২০২৪-র নভেম্বরে পাকাপাকিভাবে ছাদ আলাদা হল তারকা জুটির। চেন্নাইয়ের এক পারিবারিক আদালত তাঁদের আইনি বিচ্ছেদে সিলমোহর দিয়েছে বুধবার।
ধনুষ- ঐশ্বর্যর দুই ছেলে যাত্রা ও লিঙ্গ। সন্তানদের কথা ভেবেই এই বিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন জুটি। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তবে এখন ছাদ আলাদা হলেও সন্তানদের দেখভাল তাঁরা এক সঙ্গেই করবেন। তবে কেন বিয়ের ১৮ বছর পর তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরল, এই নিয়ে নানা জল্পনা আছে। এমনকী ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও এনিয়ে নানা কানাঘুষো যাচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রির একদলের মন্তব্য, ধনুষ খুবই কর্মপ্রেমী একজন মানুষ। সম্পর্কের চেয়ে কাজকেই নাকি তিনি বেশি গুরুত্ব দিতেন। এমনকী আউটডোর শ্যুটিংয়ের কারণে পরিবার থেকে প্রায়ই দূরে থাকতেন এবং পরিবারকে সময় দিতেন না। আর এটাই নাকি কারণ তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরার। শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে, এর জেরেই জুটির মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকত। টেনশন থেকে দূরে থাকতে ধনুষ নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। এভাবেই স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ধনুষ-ঐশ্বর্যের বিচ্ছেদ নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন গায়িকা সুচিত্রা। তিনি বলেন, দু'জনেই একে অপরের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। একসঙ্গে থাকার সময় তাঁরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ডেটে যেতেন।
২০০৪ সালে চেন্নাইতে জাকজমকপূর্ণ ভাবে বিয়ে হয়েছিল রজনীকান্তের মেয়ে ও প্রাক্তন জামাইয়ের। বিয়ে বাড়িতে কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট। রাজনীতিবিদথেকে শুরু করে, ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ অভিনেতারা বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন। দু'জনের প্রথম দেখা হয় ধনুষের ছবির মুক্তির সময়। সপরিবারে প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানে ঐশ্বর্যও উপস্থিত ছিলেন। দু'জনের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করেন প্রেক্ষাগৃহের মালিক। সেখানে ঐশ্বর্য, ধনুষের অভিনয়ের প্রশংসা করে তাঁকে একটি ফুলের তোড়া পাঠান। ধীরে ধীরে তাঁদের বন্ধু হয় এবং পড়ে তা গড়ায় প্রেম ও বিয়ে পর্যন্ত।