
পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি, নাকে বড় নাকছাবি, কানে ও গলায় সোনার গয়না, কপালে বড় টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর আর চোখে সরু ফ্রেমের চশমা। এক ঝলক দেখলে মনে হতেই পারে যে ইনি কোনও বনেদি বাড়ির অথবা সম্ভ্রান্ত পরিবারের বউ। তবে ইনি কিন্তু মহিলা একেবারেই নয়, আদ্যোপান্ত পুরুষ। নারীর সাজে ধরা দিয়েছেন টেলি পাড়ার এই জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি ছোটপর্দায় খলনায়কের চরিত্র করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
এই মুহূর্তে অভিনেতাকে দেখা যাচ্ছে একটি জনপ্রিয় সিরিয়ালে। এখানেও তিনি নেগেটিভ চরিত্রেই অভিনয় করছেন। দর্শকদের কাছে তাঁর অভিনয় সব সময়ই কদর পেয়েছে। টেলিভিশনের একাধিক সিরিয়ালে এই অভিনেতা কাজ করেছেন। বেশিরভাগই খল চরিত্রে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলা হচ্ছে। ইনি হলেন টেলিপর্দার অত্যন্ত চেনা মুখ সুদীপ সরকার। যাঁকে বর্তমানে ফুলকি-তে রুদ্রর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে।
পর্দায় তিনি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে সুদীপ নিপাট ভালোমানুষ। সদ্য বাবা হয়েছেন কন্যা সন্তানের। শ্যুটিং থেকে সময় পেলেই সুদীপ মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান। বিয়ে করেছেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর সঙ্গে, যাঁকে তেঁতুলপাতা সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছিল। সুদীপ ও অনিন্দিতা গোয়েন্দা গিন্নিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেম শুরু। যদিও অনিন্দিতার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০২২ সালে সুদীপ ও অনিন্দিতা বিয়ে করেন। ওই বছর ২৬ জানুয়ারি খুবই ব্যক্তিগত পরিসরে বিয়ে সারেন তাঁরা।
চলতি বছরের মার্চেই সুদীপ ও অনিন্দিতার সন্তান আসে। একরত্তিকে ঘিরেই এখন তাঁদের সবকিছু। অনিন্দিতা ও সুদীপ দুজনেই এখনও মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে আনেননি। তবে মাঝে মধ্যেই তাঁদের কন্যার ঝলক সামনে আসে। কখনও মায়ের আদর আবার কখনও বাবার কোলে চেপে ঘুরে বেড়ায় সে। সুদীপ কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও তাঁর নাড়ির টান কিন্তু চুঁচুড়াতে। পুজোর সময়ও স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সুদীপ চূঁচুড়াতে গিয়েছিলেন। ফুলকি সিরিয়ালে এর আগেও রুদ্র তথা সুদীপের নানান রূপ সামনে এসেছে। সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকার জীবন অতিষ্ট করতে রুদ্র উঠেপড়ে লেগেছে। প্রতিদিনই সিরিয়ালে থাকছে নয়া মোড় আর টানটান উত্তেজনা।