শাহরুখ পুত্রের বান্ধবীর স্যানিটারি ন্যাপকিনে লুকনো ছিল মাদক

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অপরাধ তো দূর, পরকীয় জাতীয় কিছুতেও খুব একটা জড়িয়ে পড়েননি। নিজের ক্যারিয়ার তিলে তিলে গড়েছেন তিনি। ছেলে আরিয়ান মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে। ইতিমধ্যেই এই খবর পুরনো হয়ে গিয়েছে। তবে অন্য কয়েকটি বিষয় পাশাপাশি নতুন করে ভাবাচ্ছে এনসিবিকে। 

আরিয়ানের বান্ধবীর স্যানিটারি ন্যাপকিনের মধ্যে লুকানো ছিল মাদক

যাঁর মধ্যে টেলি অভিনেত্রী তথা পরিচিত মডেল মুনমুন ধমেচা শীর্ষে। তিনিও মাদক নিয়ে শাহরুখ তনয় আরিয়ানের সঙ্গে ধরা পড়েছেন। তারপর থেকেই আচমচা চর্চার তুঙ্গে। এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে তার স্যানিটারি প্যাডের ভিতর রাখা ছিল মাদক। যা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার গুরুত্ব আরও গুরুতর হয়ে পড়েছে।

মাদক আছে না নেই !

চর্চায় শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। রেভ পার্টিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। বেশ কিছু প্যাকেট মাদক উদ্ধার হলেও, শাহরুখ তনয়ের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে কি না তা এখনই পরিষ্কার করেননি কেউ। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। তাঁর আইনজীবীও তাই দাবি করেছেন। যদিও প্রকাশ্যে পুলিশ আধিকারিকরা শুধু জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। অন্যদিকে আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও একজন। যিনি ক্রুজে আরিয়ানের সঙ্গেই ছিলেন। গত ৪৮ ঘণ্টায় তাঁকে নিয়ে আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে আরও একটি নাম। মুনমুন ধমেচা।

আরিয়ানের সঙ্গেই আলোচনায় মুনমুন

ক্রুজডের পার্টিতে আরিয়ানের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন মুনমুন। এনসিবি তাঁর শরীর তল্লাশি করে পরে স্যানিটারি প্যাডে লুকিয়ে রাখা মাদক উদ্ধার করে। তারপরই তাঁরা আরও নিশ্চিত হয় তাঁরা নিয়মিত মাদক নিতেন। শাহরুখ পুত্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই বলিটাউনে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কে এই মুনমুন? কী করেন তিনি?

বলিউড ও টেলি জগৎ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা মুনমুন। তাঁর পরিবার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার।  মুনমুন পেশায় মডেল। টেলি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন তিনি।পেশা সূত্রেই বলিউডের অনেকের সঙ্গেই তাঁর পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। জানা গিয়েছে শাহরুখ খানের বিশেষ বন্ধু অর্জুন রামপালের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। যোগাযোগ আছে গুরু রণধাওয়ার মতো শিল্পীর সঙ্গেও পরিচয়। আরও অনেকেই রয়েছেন মুনমুনের নোটবুকে।

ইনস্টাগ্রামে দশ হাজার ফলোয়ার মুনমুনের

ইনস্টাগ্রামে মুনমুনের অ্যাকাউন্ট বেশ জনপ্রিয়। তাঁর  অনুগামীর সংখ্যাও দশ হাজারের বেশি। ২০১৪ সাল থেকে এই অ্যাপটি তিনি ব্যবহার করছেন। তবে সেগুলির মধ্যে কোনও ছবিতে অবশ্য আরিয়ানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

জেরায় মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার

এনসিবি-র জেরায় মাদক গ্রহণের বিষয় স্বীকার করেছেন মুনমুন। জানিয়েছেন, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি হোটেলের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে একবার যখন প্রকাশ্য়ে এসেছে পুরোয় বিষয়টি অত সহজে ছাড় পাবেন বলে মনে হয় না।