scorecardresearch
 

রাজনৈতিক চাপে বন্ধ হল নাটক, 'ক্ষমতাসীনদের নাড়িয়ে দিলাম' ক্ষুব্ধ হলেও খুশি ঋতব্রত

তিনি আরও জানান, বাংলা থিয়েটারে এই ফিউডাল মানসিকতা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। বেশ কিছু মানুষ এটা করে থাকেন। ফেসবুকে এই নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রচারের জন্যেই নাকি এমনটা করা হচ্ছে, এমন কথাও বলেন উদ্যোক্তাদের একজন।

Advertisement
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • আজতক বাংলা-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ঋতব্রত বলেন
  • বাংলা থিয়েটারে এই ফিউডাল মানসিকতা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। বেশ কিছু মানুষ এটা করে থাকেন।
  • আমরা যেটা করতে চেয়েছি সেটা হয়েছে। ওরা ভয় পেয়েছে আমাদের

কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। একটি রাজনৈতিক নাটক এবং উঁচুমহলের হস্তক্ষেপে সেই নাটক বন্ধের নির্দেশ। আপাতত এ নিয়েই অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের সোশাল দেয়াল ভরে গিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি একটি ভিডিও নিজের ওয়ালে পোস্ট করেন। যা নির্বাচনের আগে এখন আলোচনার বস্তু হয়ে উঠেছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, 'সবাইকে অনুরোধ করছি একটু দেখবেন ভিডিও টি। আমাদের নাটক, ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস গ্রূপ নিবেদিত, 'দেশের নামে' -এর আগামীকাল যে অভিনয় ছিল কল্যাণী-তে, তা বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আয়োজন করেছিলেন, আমন্ত্রণ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের, তাদের উপরমহল থেকে বলা হয়, " এই নাটকটি করবেন না, আপনাদের ভালোর জন্যই বলছি!" এটা খারাপ খবর, কিন্তু কষ্ট পাচ্ছি না। এটাই বিজয়। আমাদের নাটকের বার্তা ঠিক জায়গায় পৌঁছেছে! ওরা ভয় পেয়েছে আমাদের। আমরা সব কলেজ স্টুডেন্ট, তাদের নাটককে ভয় পেয়ে বন্ধ করে দিলো। বলল 'রাজনৈতিক' নাটক করা যাবে না! এই জন্যই নাটক করি, ওদের একটু নাড়িয়ে দিলাম। যত দিন পারব এটা করেই যাব। এই ভয় দেখানো, ধমাকনোর উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে আমরা যেটা পারি করেই যাবো। :) পরবর্তী অভিনয়গুলো দেখতে চলে আসুন। সবাইকে জানান। এটা যে হল সবাইকে জানান। আর আমাদের নাটকের সংলাপটা আবার বলছি, ওদের শুনিয়ে, "মানুষের জন্য, দেশের জন্য কিচ্ছু করেননি। যা করেছেন শুধু নিজেদের জন্য!"'
 

আজতক বাংলা-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ঋতব্রত বলেন, 'প্রথমে বলা হল যে অনুমতি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় নাটকটি মঞ্চস্থ করা যাবে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমি এই নিয়মগুলি জানি। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। আমরা কয়েকজন ছাত্র এই নাটকটি মঞ্চস্থ করি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে কোঅর্ডিনেট করছিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার কাছে ফোন করে নাটকের কনটেন্ট জানতে চাওয়া হয়। আমরা তো তা দিতে বাধ্য নই। নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার ঠিক আগের দিন, যখন ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই সে সময় আমাদের জানিয়ে দেওয়া হল যে নাটক করা যাবে না। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নাটক করা যাবে না। আমরা বলি এটা নির্বাচনের সঙ্গে কোনও ভাবে সম্পর্কিত নয়। তখন তারা বলে আপনারা এই নাটক করবেন না, আপনাদের ভালোর জন্য বলছি।'
 

Advertisement

তিনি আরও জানান, বাংলা থিয়েটারে এই ফিউডাল মানসিকতা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। বেশ কিছু মানুষ এটা করে থাকেন। ফেসবুকে এই নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রচারের জন্যেই নাকি এমনটা করা হচ্ছে, এমন কথাও বলেন উদ্যোক্তাদের একজন। সেখানে ঋতব্রত তাঁদের কথোপকথনের একটি রেকর্ডিংও পোস্ট করেন।

ঋতব্রত-র আক্ষেপ, 'আমরা সবাই ছাত্রছাত্রী। আমাদের কতটুকু ক্ষমতা বলুন। তার পরেও একটা নাটক নিয়ে এত ভয়। এতে খারাপ লেগেছে ঠিকই, কিন্তু খুশিও হয়েছি। আমরা যেটা করতে চেয়েছি সেটা হয়েছে। ওরা ভয় পেয়েছে আমাদের।'

 

Advertisement