
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়এ বছর পুজোটা কলকাতাতেই কেটেছে টলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। এই পুজোতে অভিনেতার দশম অবতার মুক্তি পেয়েছে। তাই হল ভিজিট থেকে শুরু করে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা সবটাই করেছেন প্রসেনজিৎ। সুরুচি সংঘে ঢাক বাজানো কখনও আবার হাজরা পার্কে অষ্টমীর অঞ্জলি, সবটাই দারুণ আনন্দের সঙ্গে কেটেছে প্রসেনজিতের। একদিকে যখন কলকাতা শহরে পুজোর মজায় মেতেছেন বুম্বা দা অপরদিকে বিদেশে কেমন পুজো কাটালেন প্রসেনজিতের প্রাক্তন স্ত্রী ও কন্যা?
প্রসেনজিতের দ্বিতীয় স্ত্রী অপর্ণা গুহঠাকুরতা ও মেয়ে প্রেরণা এখন লন্ডনেই থাকেন। তাঁরা বহু বছর ধরেই বিদেশে রয়েছেন। পুজোটা অপর্ণা ও তাঁর মেয়ে প্রেরণাকে দেখা গেল একেবারে ঘরোয়া আড্ডায়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে পুজোর আড্ডা সবটাই চলল দারুণভাবে। মেয়ে প্রেরণাকে দেখা গেল শাড়িতে, তবে বাঙালি শাড়িতে নয়, অবাঙালিদের মতো শাড়ি পরেছেন প্রসেনজিৎ-কন্যা। তবে অপর্ণাকে একেবারে বাঙালিদের মতোই শাড়িতে দেখা গিয়েছে। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুজোয় আড্ডা দিচ্ছেন তাঁরা।

অপর্ণা সেই আড্ডার বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমাদের বাড়িতে সপ্তমীর সন্ধ্যা কাটল এইভাবে। পরিবারের মতো বন্ধুদের পেয়ে ধন্য, যাঁরা সবাই কলকাতা থেকে দূরে। দিনটা সত্যিই খুব বিশেষ।' এরপর অপর্ণা সকলকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। ছবিতে অপর্ণাকে দেখা গিয়েছে সকলের সঙ্গে আড্ডার মেজাজে, সঙ্গে রয়েছেন প্রেরণা। পুজোতে খাবারও ছিল একেবারে বাঙালি। চিংড়ি মাছের মালাইকারি, মাটন, ভাত দেখা গিয়েছে প্লেটে।

প্রসঙ্গত, দেবশ্রী রায়ের পর প্রসেনজিৎ বিয়ে করেন অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে। ১৯৯৭ সালে প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে বিয়ে হয় অপর্ণা ঠাকুরের। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। ২০০২ সালে প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে অর্পণার বিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের মেয়ে প্রেরণার জন্ম হয় ২০০২ সালে। তবে অপর্ণা শিশু অবস্থাতেই প্রেরণাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান। অপর্ণা একেবারেই গ্ল্যামার ও বিনোদন জগত থেকে পুরো আলাদা থাকতে ভালোবাসেন। খুব কম মানুষই চেনেন অপর্ণাকে। প্রেরণা লন্ডনেই পড়াশোনা করছেন। বাবা প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্কই এখন আর নেই। বাবাকে ছাড়াই প্রেরণা মায়ের সঙ্গে সব উৎসবে সামিল হন। দুর্গাপুজোতেও বিদেশে নিজেদের মতো করে উদযাপন করেছেন।