স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ঠোঁট কাটা বলেই পরিচিত। জীবনকে একেবারে নিজের মতো করে উপভোগ করেন নায়িকা। সহজ কথা সহজভাবে বলাতেই বিশ্বাসী স্বস্তিকা। আর এই কারণেই তিনি অন্য সব টলি নায়িকাদের থেকে একেবারে অন্যরকম। জীবনে তাঁর সঙ্গে নতুন কিছু ঘটলেই তা সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে ভোলেন না তিনি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নাইটি পরা ছবি শেয়ার করলেন স্বস্তিকা। আর সঙ্গে জানাতে ভুললেন না এই জায়গার নাইটি তাঁর সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
স্বস্তিকার শেয়ার করা দুটি সেলফিতে তাঁকে সাদা রঙের স্লিভলেস প্রিন্টেড নাইটিতে দেখা গিয়েছে। চুল খোলা ও চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, একেবার ঘরোয়া লুকে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। এই ছবি শেয়ার করে স্বস্তিকা লেখেন, গড়িয়াহাটের নাইটি দ্য বেস্ট। একজন মজা করে সেই পোস্টে লেখেন, ওএমজি, তুমিও গড়িয়াহাটের জিনিস পরো আমাদের মতন। সেই কমেন্টের নীচে গিয়ে স্বস্তিকাও জানান যে তাঁর পুরো জীবনটাই গড়িয়াহাট। নাইটি, পেটিকোট, ব্লাউজ, জাঙ্ক গয়না, বেড কভার, পাপোস সবটাই তিনি গড়িয়াহাট থেকে কেনেন।
স্বস্তিকার এই পোস্টে অনেকেই লিখেছেন যে নায়িকা হওয়া সত্ত্বেও তিনিও যে সাধারণ মানুষের মতোন গড়িয়াহাট থেকে কেনাকাটি করেন তা শুনে ভাল লেগেছে। আসলে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে স্বস্তিকা তাঁর শপিং গড়িয়াহাট থেকেই যে করবেন এটা খুবই সাধারণ বিষয়। গড়িয়াহাটের সেই বিখ্যাত নাইটি— যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারো মেয়ের প্রতিদিনের স্বস্তি, আর পাঁচটা বেলার হাসি। সেই নাইটিতেই স্বস্তিকার এই ছবির মুহূর্ত যেন আরও আপন, আরও জীবন্ত হয়ে উঠল।
প্রসঙ্গত, আগের চেয়ে স্বস্তিকার ওজন অনেকটাই কমেছে। বেশ রোগা হয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক ভিডিওতে একজন অনুরাগী স্বস্তিকাকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কীভাবে তাঁর ওজন কমালেন। কোনও রাখঢাক না রেখেই স্বস্তিকা তাঁর সিক্রেট শেয়ার করেছেন প্রকাশ্যেই। নিজের ৬ মাসের ওজন কমানোর সফল বলেছেন তিনি। স্বস্তিকা জানান, হ্যাঁ, ছ’মাস ধরেই কমিয়েছি। রোজ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের ব্রিস্ক ওয়াক। দিনে মাত্র একবেলা খাবার। রুটি-ভাত-পাউরুটি একেবারে বন্ধ। ভাজাভুজি থেকে দূরে। মিষ্টি বা চকোলেট ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব— তাই সেগুলো বাদ দিইনি ঠিকই, কিন্তু বাকি সব মেদ-টানা খাবারকে বলেছি না। একটু সময় লাগে, তবে লেগে থাকলে ফল পাওয়া যায়।