পাওয়ার কাপল হিসাবে পরিচিত বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা। দুই সন্তানের মা অনুষ্কা অভিনয় জগত একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছেন। বিরাটের সঙ্গে লন্ডনেই পাকাপাকিভাবে বসবাস করছেন এই তারকা দম্পতি। ভারতের সঙ্গে নাকি ক্রমশঃ দুরত্ব বাড়াচ্ছেন অনুষ্কা। অথচ এই দেশই অনুষ্কা ও বিরটাকে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা দিয়েছে। অনুষ্কা ও বিরাটের দ্বিতীয় সন্তানও লন্ডনেই চুপিসারে জন্ম নেয়। তারপর থেকেই এই দম্পতি লন্ডনে থাকতে শুরু করে দেন।
সদ্য মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী ডাঃ শ্রীরাম নেনের পডকাস্টে এসেছিলেন রণবীর এলাহাবাদিয়া। এঁরা দুজনেই বিরাট কোহলির ফ্যান। সেই সময়ই ডাঃ নেনে বলেন যে তাঁর সঙ্গে অনুষ্কার কথা হয়েছে, কেন তাঁরা ভারত ছাড়লেন। ডাঃ নেনে বলেন, অনুষ্কা ও বিরাট লন্ডনে পাকাপাকিভাবে থাকার কথা ভাবছিলেন কারণ তাঁরা এই দেশে তাঁদের সাফল্যকে উপভোগ করতে পারছিলেন না। আমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি, কারণ যেটাই ওঁরা করে তা লাইমলাইটে চলে আসে।
এটা ছাড়াও নেনে জানিয়েছেন যে অনুষ্কা ও বিরাট তাঁদের সন্তানদের গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে সরিয়ে একেবারে সাধারণভাবে পালন করতে চান। এটা তাঁদের লন্ডনে থাকার দ্বিতীয় কারণ। তিনি পরে সাংবাদিকদের জানান, সন্তানদের নিরাপদ জীবন দিতে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন গোপনে রাখতেই ‘বিরুষ্কা’র এই সিদ্ধান্ত। বিরাট-অনুষ্কা দুঃখ করে পডকাস্টে জানিয়েছেন, ইচ্ছে হলেও তাঁরা ফুচকা, ভেলপুরি খেতে বেরোতে পারেন না। রাস্তায় ভিড় জমে যায়। একই ভাবে তাঁদের ছেলেমেয়েকে নিয়েও সংবাদমাধ্যমের অতিরিক্ত কৌতূহল। এগুলো তাঁদের ভাল লাগছে না। বিদেশে কিন্তু এই অহেতুক আগ্রহ দেখানোর স্বভাব কারও মধ্যে নেই।
তাই লন্ডনে দ্বিতীয় সংসার পেতেছেন অনুষ্কা-কোহলি। সেখানে তাঁদের দুই সন্তানের ছেলেবেলা অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন বিরাট-অনুষ্কা। প্রসঙ্গত, অনুষ্কা ও বিরাটের বিয়ে হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। তাঁদের দুই সন্তান, ভামিকা ও অকায়া। লন্ডনেই শান্তিতে বসবাস করছেন এই চারজন।