Rachna Banerjee: 'সারাবছর ময়দা খাই না, এই সময় লুচি মাস্ট', পুজোতে কী প্ল্যান সাংসদ-অভিনেত্রী রচনার?

Rachna Banerjee: রাজনীতি থেকে শ্যুটিং। তারওপর ছেলের বড় দায়িত্ব, সবটাই একা হাতে সামলাতে দারুণভাবে সিদ্ধহস্ত অভিনেত্রী-সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শ্যুটিং সামলে কীভাবে নিজের কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে হয় আবার ছেলে প্রণীলকেও রাখেন চোখে চোখে। বছর ৫০ পেরিয়ে গেলেও নিজেকে কীভাবে ফিট অ্যান্ড ফাইন রাখতে হয়, তা জানেন রচনা।

Advertisement
'সারাবছর ময়দা খাই না, এই সময় লুচি মাস্ট', পুজোতে কী প্ল্যান সাংসদ-অভিনেত্রী রচনার?রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • এবার রচনাই জানালেন, পুজোর পাঁচটা দিন কোনও ডায়েট নয়, বরং প্রাণ ভরে খাওয়াদাওয়া করবেন।

রাজনীতি থেকে শ্যুটিং। তারওপর ছেলের বড় দায়িত্ব, সবটাই একা হাতে সামলাতে দারুণভাবে সিদ্ধহস্ত অভিনেত্রী-সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শ্যুটিং সামলে কীভাবে নিজের কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে হয় আবার ছেলে প্রণীলকেও রাখেন চোখে চোখে। বছর ৫০ পেরিয়ে গেলেও নিজেকে কীভাবে ফিট অ্যান্ড ফাইন রাখতে হয়, তা জানেন রচনা। এখনও এদিক-ওদিক যেভাবে দৌড়ে বেড়ান তিনি, যা দেখে অনেকেই লজ্জায় পড়ে যাবে। কড়া ডায়েট, প্রাতঃভ্রমণ, যোগা, জিম সবই রয়েছে হুগলির দিদি তথা দিদি নম্বর ১-এর ফিটনেস তালিকায়। এবার রচনাই জানালেন, পুজোর পাঁচটা দিন কোনও ডায়েট নয়, বরং প্রাণ ভরে খাওয়াদাওয়া করবেন।

পুজোতে কোনও ডায়েট মানবেন না হুগলির সাংসদ তথা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং পুজোর পাঁচটা দিন কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবেন তিনি। সম্প্রতি পোলবার সুগন্ধায় নিজের অফিসে দৃষ্টিহীন দুঃস্থদের পুজোর বস্ত্র তুলে দেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে এসে অভিনেত্রী বলেন, 'আগে পুজোর চার দিনের ছিল এখন তো মহালয়ার পর থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়'। দিদি নম্বর ১ বলেন, পুজো মানেই খাওয়া দাওয়া। সারা বছর ময়দা খাইনা। কিন্তু পুজোর সময় লুচি খাওয়া হয়। আর অষ্টমীতে খিচুড়ি, বেগুনি, লাবড়া, চাটনি, পায়েস এটা লাগবেই। আর নবমীতে মাটন মাস্ট। মাছটাও খাওয়া হয় পুজোর সময়। 

রচনা বলেন, আসলে পুজোর কটা দিন সারা বছরের থেকে একটু আলাদা। তাই খুব আনন্দ খাওয়া দাওয়া মজা হয়। তবে উপোস করি না। ঠাকুর বলে দেয়নি উপোস করে পুজো করতে। ঠাকুরকে মন থেকে ডাকলেই হল। পুজোর ফ্যাশন নিয়ে রচনা জানিয়েছেন যে পুজোর কটা দিন রং মিলিয়ে পোশাক পরেন তিনি। পুজোর সময় শাড়ি পরতেই ভালোবাসেন তৃণমূলের সাংসদ। বেশ কিছু দিন আগে রচনা হেয়ার স্টাইল বদল করেছেন। আগের লম্বা চুল ছোট করে লালচে আভা দিয়েছেন। পুজোয় লম্বা চুল না ছোট, সেই বিষয়ে হুগলির সাংসদ বলেন, এখন ছোট আছে আবার লম্বা হয়ে যাবে।

Advertisement

গরমে ডাবের জল, ফল ও বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন হুগলির সাংসদ। পঞ্চাশ পেরিয়েও ছিপছিপে থাকতে ডায়েট করেন, তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে ফেলার কথা বলেছেন একাধিকবার। গত বছর ভোটের প্রচারে বেড়িয়েও নিজের ডায়েট বজায় রেখেছিলেন রচনা। কিন্তু পুজোর কটা দিন এগুলো কিছুই মানেন না তিনি। বরং খাওয়া দাওয়া, আড্ডা এইসব করতেই বেশি ভালোবাসেন সাংসদ-অভিনেত্রী।

রিপোর্টারঃ রাহি হালদার 
   
 

POST A COMMENT
Advertisement