এই মুহূর্তে গানের জগতে যিনি সবচেয়ে বেশি চর্চিত তিনি হলেন অরিজিৎ সিং। তাঁর কন্ঠের যাদুতে মুগ্ধ গোটা দেশবাসী। এই মুহূর্তে হিন্দি প্লেব্যাক জগতের শীর্ষে রয়েছে তাঁর নাম। অরিজিৎ সিং-এর গানে মজে আসমুদ্র-হিমাচল। দেশে-বিদেশে একাধিক কনসার্ট করে চলেছেন গায়ক। দশকের সেরা কণ্ঠশিল্পী তাঁকেই বলা যায়। সমানে উপহার দিয়ে চলছেন দর্শকপ্রিয় সব গান। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও ভিটেমাটির টানে বারে বারে ফিরে আসেন মূর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। তাঁর মধ্যে নেই স্টারডমের অহংকার, বরং বরাবরই প্রচার বিমুখ থাকতেই ভালোবাসেন অরিজিৎ। বলিউড-টলিউড সহ একাধিক ভাষায় গান গাওয়া সহ বহু কনসার্ট করে থাকেন। তাই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নেহাৎ কম নয়। তাও গায়কের জাবন যাপন অত্যন্ত সাদামাটা।
কত উপার্জন করেন অরিজিৎ সিং
এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অরিজিতের আয়ের নানা উৎসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই গায়কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকার মতো। শোনা যায় গান পিছু তিনি নেন ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে লাইভ শো। শো পিছু যে পারিশ্রমিক নেন, তার কিছুটা হের ফের হলেও মোটামুটি কোটির উপরেই থাকে সেই অঙ্ক। কিন্তু এত টাকার যিনি মালিক তিনি তো অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন। তবে এত অর্থ কোথায় খরচ করেন অরিজিৎ?
সাদামাটা জীবন যাপন গায়কের
তবে অনেকেই হয়তো জানতে উৎসুক, রোজগার বাবদ অর্জিত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গায়ক খরচ করেন কী ভাবে? জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও ভীষণ সাদামাটা থাকতেই পছন্দ করেন অরিজিৎ। বড় মাপের গায়ক, কিন্তু দামি গাড়ি নেই। সাধারণ মধ্যবিত্তদের মতোই তাঁর বিচরণ। যদিও সম্প্রতি ম্যানেজারের পরামর্শে বড় গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়েছেন অরিজিৎ। কয়েক মাস আগেই স্ত্রী ও ছেলেসহ অরিজিতের একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছেলেকে মুম্বই বা কলকাতার কোনও স্কুলে না পড়িয়ে নিজের জেলার স্কুলে ভর্তি করেছেন তিনি। আবার পাঁচজন অভিভাবকের সঙ্গেই স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করেন। এতটাই সাদামাটা জীবন। নিজের রোজগারের অর্থ নাকি কোনো বিলাসবহুল জীবনযাপনে নয়, বরং সমাজের কল্যাণেই খরচ করেন অরিজিৎ।
আরও পড়ুন: Arijit Singh Marriage: দ্বিতীয় বিয়েটা তারাপীঠে সেরেছিলেন অরিজিত্, প্রথমবার কী হয়েছিল?
ছোটবেলার স্কুলের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন অরিজিৎ সিং
এই গায়ক শৈশবে যে স্কুলে পড়েছেন, সেই জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। স্কুলের উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়েছিল স্কুলের খেলার মাঠ। অরিজিৎ সিংয়ের তত্ত্বাবধানে সেই মাঠ ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অরিজিতের একটি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। জিয়াগঞ্জে উন্নত হাসপাতাল করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে গায়কের। মহামারির সময়ে মূর্শিদাবাদে চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে অর্থ সাহায্যও করেছেন গায়ক। এছাড়াও অরিজিৎ তাঁর উপার্জনের একটা বড় অংশ জিয়াগঞ্জের হাসপাতালের উন্নয়নে, দুঃস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসায় এবং গানের স্কুল নির্মাণে ব্যয় করেন। এ ছাড়াও জিয়াগঞ্জে বিনামূল্য ইংরেজি শিক্ষার কোচিংও খুলেছেন। লাগাতার বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেও সামিল হন তিনি। আসলে নিজের স্বার্থ নয় বরং সমাজের সার্বিক উন্নতিই যেন অরিজিতের একমাত্র লক্ষ্য।