Sayantika Banerjee: বেড়েছে ওজন, করছেন না শরীরচর্চা, পুজো কেমন কাটবে বিধায়ক সায়ন্তিকার?

Sayantika Banerjee: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি আকাশে দেখা দিলেও মাঝে মধ্যে আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘ জানান দিচ্ছে শরৎকাল এসে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই বছর পুজো। আর মাস পড়তেই পুজোর প্রস্তুতিতে মেতেছেন বাঙালিরা। গত বছর থেকেই সায়ন্তিকার জীবনটা অনেকটাই বদলেছে। বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন বরাননগর কেন্দ্রের।

Advertisement
বেড়েছে ওজন, করছেন না শরীরচর্চা, পুজো কেমন কাটবে বিধায়ক সায়ন্তিকার?সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • বিধায়ক বলেন, পুজোর সময় কলকাতা ছেড়ে খুব একটা যাওয়া পছন্দ করি না।

নিম্নচাপের ভ্রুকুটি আকাশে দেখা দিলেও মাঝে মধ্যে আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘ জানান দিচ্ছে শরৎকাল এসে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই বছর পুজো। আর মাস পড়তেই পুজোর প্রস্তুতিতে মেতেছেন বাঙালিরা। গত বছর থেকেই সায়ন্তিকার জীবনটা অনেকটাই বদলেছে। বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন বরাননগর কেন্দ্রের। দিনের অধিকাংশ সময়টাই সেখানে কাটে। এই বছরের পুজো যদিও বিধায়কের কাছে খুব একটা সুখের হবে না। কয়েক মাস আগেই হারিয়েছেন তাঁর আদরের পোষ্য সিরাজকে। পুজোর প্ল্যান কী? bangla.aajtak.in-কে জানালেন বিধায়ক সায়ন্তিকা। 

পুজোর সময় সায়ন্তিকার টাইট শিডিউল। দম ফেলার সময় থাকে না। সায়ন্তিকা নিজের পুজোর প্ল্যান নিয়ে বলেন, 'গত বছরের পুজো থেকেই বিধায়ক হিসাবে আমার জীবন বদলেছে, কাজের চাপ বেড়েছে, মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখার চাপ বেড়েছে। শিল্পী হিসাবে আমি পুজোতে সব সময়ই কাজ করেছি, আমার জন্মদিন হোক অথবা যে কোনও অনুষ্ঠানেই কাজের চাপটা বাড়ে। যেহেতু আমার কেন্দ্রে আমায় সময় দিতে হয়, তাই গতবারের তুলনায় কাজের চাপ বেড়েছে। নিজের পেশার কাজ থাকে। সব মিলিয়ে এই পুজোতেও কাজের দায়িত্ব আরও বেড়েছে।'

ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

বিধায়ক বলেন, পুজোর সময় কলকাতা ছেড়ে খুব একটা যাওয়া পছন্দ করি না। পুজোর সময় বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরা, শিল্পী হিসাবে আগে পুজোর উদ্বোধন, অনুষ্ঠান থাকত। তাই সপ্তমী পর্যন্ত কাজই করতাম। অষ্টমী থেকে সবাইকে ছুটি দিতে হত। সেই সময়টা আমি পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতাম। গত বছর থেকে কাজও করি আবার পুজোর শুরুটা হয় আমার কেন্দ্রের সব পুজোর উদ্বোধন দিয়ে, প্রচুর পুজোর উদ্বোধন করতে হয়। সন্ধে থেকে আমি আবার নিজের কাজে বেরোই। একেবারেই বরানগর কেন্দ্রেই থাকা হয়। বিধায়ক হিসাবে অনেক পুজোর পৃষ্ঠপোষক হিসাবে রয়েছি, প্রেসিডেন্ট হিসাবে রয়েছি, আমার সেখানে প্রতিশ্রুতি থাকে। 

সায়ন্তিকার কথায়, পুজোয় কলকাতায় থাকি। পুজো দেখা, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করা, মা-বাবাও বরানগরে চলে আসে, এখানে কয়েকটা ভাল পুজো হয়। আমি এখানেই সবাইকে ডেকে নিই, ওখানেই কাজের পরে আনন্দ, আড্ডা-খাওয়া দাওয়া, একসঙ্গে হই-হুল্লোড় হয়। আমি যখন অভিনেত্রী ছিলাম তখন নিজের পছন্দেই সেই জীবনটা কাটাতে চেয়েছি। এখন আমি বিধায়ক, সেটাও আমার পছন্দের। আমি যে পরিস্থিতিতে থাকব সেখান থেকেই আনন্দ খুঁজে নেব। প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো সেক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না, বিধায়ক হওয়ার পর প্রচুর প্যান্ডেল হপিং হয়। প্রচুর পুজো দেখা হয়। 

Advertisement

ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

পুজোয় কি ডায়েট ভুলে খাওয়া-দাওয়া হয়? বিধায়ক বলেন, আমি সব খাবারই খাই। তবে পুজোর সময় ভোগ খেতে ভীষণ ভালোবাসি। এমনি বাড়িতে খিচুড়ি রান্না করলে সেই স্বাদ হয় না, কিন্তু ভোগের খিচুড়িতে আলাদাই স্বাদ পাওয়া যায়। সেইসব পুজো থেকে প্রচুর ভোগ-প্রসাদ পাঠানো হয়, সেই প্রসাদ খেতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি এমনিতে ফাস্ট ফুড খাই না। তবে এমনি সময়ে সবই খাওয়া হয়ে থাকে। আসলে আমি জীবনকে উপভোগ করাতে বিশ্বাসী। পুজোর সময় আমি বিশেষ করে যেটা উপভোগ করি তা হল ভোগ। সায়ন্তিকা বলেন, আমি সর্বভুক। আমি সব খাই। মা ভাল অভ্যাস করিয়েছে ছোটবেলা থেকে। তবে শেষ তিনমাস আমি একটু ব্রেক নিয়েছি, কড়া ডায়েটের মধ্যে নেই আমি। হয় না একটা একঘেঁয়েমি আসে। তাই আমি এখন সবই খাচ্ছি টুকটাক করে। প্রতিমাসেই পুজো চলছে আমার এত খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে। ওজন বাড়ুক বা কমুক, আমি ভেতর থেকে হেলদি থাকাতে বিশ্বাস করি। ওজন আমি নিজে থেকেই বাড়িয়েছি, আমি একটা ব্রেকও নিয়েছি এবং আমি যখন অনস্ক্রিন কাজ করব, তখন আমি চাইব আমার দর্শক আমায় যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে। আর সেই কারণে এই ব্রেক নেওয়া জরুরি। আর এখনই আমি অনস্ক্রিনে আসছি না, তাই এটাই সঠিক সময় ব্রেক নেওয়ার। 

ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

পুজোর শপিং হয়ে গেছে? বিধায়ক জানান যে তিনি সারাবছরই কেনাকাটা করেন। তবে একে-ওকে দেওয়ার জন্য বিধায়ক তাঁর মাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আর মা তাঁর জন্য শাড়ি কিনে রাখেন। সায়ন্তিকা জানান, শাড়ি পরতে আমি খুব পছন্দ করি। অনস্ক্রিনে সায়ন্তিকাকে রোম্যান্স করতে বহুবারই দর্শক দেখেছেন, পুজোয় প্রেম হয়েছে? বিধায়কবলেন, পুজোতে বহুবার প্রেমে পড়েছি। এই সময় বাঙালি মেয়েদের প্রেম না হলে হয়। পুজোর প্রেম মাস্ট। সেটা পুজোতে হয় আর পুজোর পর বিসর্জন হয়ে যায়। তবে প্রেম করলেও বাড়িতে বলে দিই সব সময়। আমার পেটে কোনও কথা থাকে না। ছোটবেলায় হত, এখন আর সময় কোথায়। 

পুজোর কিছু মাসআগেই সায়ন্তিকা তাঁর প্রিয় পোষ্য সিরাজকে হারিয়েছেন। তাই মন-মেজাজ কোনওটাই ভাল নেই। এই বছর পুজোতে সেভাবে আন্দ করবেন না সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, পুজোর আগেই আমার প্রিয় পোষ্য চলে গেছে, তাই মন-মেজাজ খুবই খারাপ। সেই জন্য জিম করতেও ইচ্ছে করছে না, মানসিকভাবে ভাল নেই বলেই ব্রেক নিয়েছি। এখন খাওয়া-দাওয়া না করলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারব না। তাই এখন ওজন বাড়িয়ে নিই কিছুদিন, তারপর না হয় শরীরচর্চা করে ওজন কমিয়ে নেব। এই বছর রথযাত্রাও সেভাবে উদযাপন করিনি, তবে দুর্গাপুজোয় কাজ তো করতেই হবে, সেটা করব কিন্তু পুজোর আনন্দ-মজা এগুলো করতে পারব না এই বছর। সায়ন্তিকার ছোটবেলায় পুজো কাটত সল্টলেকে। কারণ সেখানেই বরানগরের বধায়কের বেড়ে ওঠা। ছোটবলোয় পুজোতে সল্টলেকের লাবণিতে ভাল কাটত। লাবণি হাউজিংয়ের ভেতরের পুজো, এফডি ব্লকের পুজো দেখতে যেতাম। পাড়ার পুজোয় খুব মজা করতাম। বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যেতাম। এখন আর যাওয়া হয় না, মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে একবার শুধু দর্শন করে যাই, বলেন সায়ন্তিকা।         

POST A COMMENT
Advertisement