লোকে বলে, তিনি ইন্ডাস্ট্রি। ৬০ বছর বয়সেও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ক্যারিশমা ধরে রেখেছেন। বয়স লোকাতে পছন্দ করেন না আবার তাঁকে দেখলে বয়সও লজ্জা পায়। প্রসেনজিৎ আজও যে কোনও নতুন প্রজন্মের অভিনেতাকে টেক্কা দিতে একেবারে প্রস্তুত। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এটা প্রচলিত যে প্রসেনজিৎ নাকি কেবলমাত্র দই-শশা খেয়েই এত ফিট থাকেন। আর কোনও খাবারই নাকি তিনি খান না। তবে এবার সত্যিটা খোলসা করলেন স্বয়ং বুম্বাদা।
এক সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রসেনজিৎ জানিয়েছিলেন যে এটা একেবারেই ভুল ধারণা যে তিনি কেবলমাত্র দই-শসা খেয়ে থাকেন। প্রসেনজিৎ দই-শসা খান তবে সেটাই তাঁর একমাত্র খাবার নয়। দই-শসার বাইরে বুম্বাদা আরও অনেক খাবারই খেয়ে থাকেন। তিনি জানান যে একজন স্বাভাবিক মানুষ যা যা খায়, অর্থাৎ ভাত-ডাল-সবজি-মাছ তা সবই খান। তবে সেটা সময় মেনে এবং অল্প করে খান। প্রসেনজিৎ এটা জানিয়েছেন যেটা তিনি করেন তা হল প্রচুর জল খান। যা তাঁর সুস্থ ও ফিট রাখার একমাত্র সিক্রেট।
প্রসেনজিৎ এও জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির প্রত্যেকটি ঘরে ২-৩টে করে জলের বোতল রাখা থাকে। যখনই যে ঘরে থাকেন, জলের বোতল থেকে জল খেয়ে নেন। এবং তা করতে তাঁর ভুল হয় না। যদিও প্রসেনজিৎ বিরাট কোহলির ফিটনেসের খুব ভক্ত এবং তিনি তাঁর ডায়েট অনুসরণ করারও চেষ্টা করেন। বুম্বাদা অনেক আগেই ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তবে মাঝে মাঝে নিয়মের হেরফের হয় ঠিকই। প্রসেনজিৎ যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুব সচেতন এটা ইন্ডাস্ট্রির সকলেই জানে। এই কারণে তাঁর মুখে বয়সের কোনও ছাপই পড়েনি।
সম্প্রতি প্রসেনজিৎকে দেখা গিয়েছিল তাঁর সহকারী ঔন্দ্রিলার সাধের অনুষ্ঠানে। সেখানেও প্রসেনজিৎকে খুব মেপে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা গিয়েছিল। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি বুম্বাদা কঠোর শরীরচর্চার মধ্যেও থাকেন। প্রসঙ্গত, পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিতের দশম অবতার। যেখানে প্রসেনজিতের অভিনয় দারুণভাবে প্রশংসা পেয়েছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অযোগ্য ছবিতে বহু বছর পর জুটি বাঁধতে চলেছেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। এটা তাঁদের জুটির ৫০তম সিনেমা হতে চলেছে।