একজন সদ্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে ফের নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন আর একজন সম্পর্ক থেকে বেরোনোর কিছুমাসের মধ্যেই বিয়ে করে নেন। যদিও এখন তাঁরা খুবই ভালো বন্ধু। একসঙ্গে একাধিক জায়গায় স্টেজ শো করছেন। কথা হচ্ছে গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও গায়িকা ইমন চক্রবর্তীকে নিয়ে। একটা সময় তাঁদের প্রেম বেশ চর্চিত ছিল। কিন্তু আচমকাই ব্রেকআপ। তারপরই দুজনের পথ দুইদিকে বেঁকে যায়। তবে কেন এই ব্রেকআপ হয়েছিল, তা অজানা।
দীর্ঘদিন ধরে ইমন ও শোভন প্রেম করলেও তার খবর কাউকে টের পেতে দেননি। যদিও তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে অনেকেই এটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন। শোভনের চেয়ে ইমন অনেকটাই বড় ছিলেন। তবে বয়সের ফারাক তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোনও সময়েই। এক সময় দিদি নম্বর ওয়ানে হাজির হয়ে রচনার সামনেই কার্যত নিজেদের প্রেম স্বীকার করে নিয়েছিলেন শোভন এবং ইমন। তারপর থেকে চুটিয়েই প্রেম করতেন দুজনে। কিন্তু আচমকাই তাঁদের মধ্যে কী এমন হলো যে তা ব্রেকআপ পর্যন্ত গড়ায়।
দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন শোভন-ইমন। সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য অন্য কিছু ঠিক করা ছিল। সম্পর্কটা টেকেনি শোভন ইমনের। হঠাৎ করেই তাঁদের বিচ্ছেদের খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কেন আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন শোভন আর ইমন? ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুঁষো অনুযায়ী, দিদি নম্বর ওয়ানে আরেকটি এপিসোডে শোভন তাঁর মাকে নিয়ে এসেছিলেন। আর সেখানেই শোভনের মা তাঁর ছেলের সঙ্গে ইমনের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। ইমনকে পুত্রবধূ হিসেবে মোটেও পছন্দ নয়, ক্যামেরার সামনেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শোভনের মা। এর কিছুদিন পরই ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। তবে ইমন ও শোভনর সম্পর্ক ভাঙার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইমনের পর শোভন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গেও। তবে তিনবছর সম্পর্কে থাকার পর চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসেই শোভন ও স্বস্তিকার সম্পর্কে ভাঁটা পড়ে। সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে প্রাক্তন ইমন নাকি ফিরে এসেছে শোভনের জীবনে। যদিও এইসব নিয়ে মুখ খোলেননি শোভন বা ইমন কেউই। বর্তমানে নীলাঞ্জনের সঙ্গে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন ইমন, তাঁর সফলতা এখন আকাশ ছোঁয়া। আর শোভনও নতুনভাবে সম্পর্কে জড়িয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সঙ্গে।