
গোপনে বিয়েটা সেরেই নিলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটার তথা ছোটপর্দার অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকদিন ধরেই এই খবর শোনা যাচ্ছিল। তবে কবে বা কার সঙ্গে বিয়ে এটা জানা যাচ্ছিল না। সোমবারই বাঙালি রীতি-রেওয়াজ মেনে বিয়ে সারলেন সায়ক। পাত্রী ছোটপর্দার চেনা মুখ অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায়। সায়ক ও অনন্যার মধ্যে বয়সের ফারাক বিস্তর। তাহলে কি অয়ন্যার সঙ্গে গোপনে প্রেমটাও করছিলেন সায়ক? এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়কের জনপ্রিয়তা কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে স্পন্ডলাইটিসের যন্ত্রণায় কাতর তিনি। আর হঠাৎ করেই বিয়ের সানাই বাজল তাঁর বাড়িতে। শহর থেকে কিছুটা দূরে গঙ্গার পাড়ে বিয়ের আসর বসে। পাত্রী অনন্যা হলুদ রঙের শাড়ি ও গোলাপি রঙের ব্লাউজ পরেছিলেন, হাতে গাছকৌটো। নিয়ম মেনেই সায়কের গায়ের হলুদ উঠল অনন্যার গায়ে। ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ খ্যাত অভিনেত্রী অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সায়কের প্রেম কবে হল সেটা কেউই টের পাননি।
সন্ধ্যেবেলা যথারীতি অয়ন্যার দেখা মিলল বাঙালি বধূবেশে। লাল বেনারসী, মাথায় শোলার মুকুট, গায়ে সোনা গয়না। একেবারে বালিকা বধু যেন। অয়ন্যার বয়সও বেশি নয়। ১৩ কি ১৪ হবে। ওদিকে সায়কের বয়স ৩১ বছর। বিয়ের দিন সায়ক পরেছিলেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি ও লাল রঙের ধুতি। বাঙালি মতেই মালাবদল, শুভদৃষ্টি, সিঁদুরদান সবটাই হল। বিয়ের পর নবদম্পতিকে সুন্দর লাগছিল। যদিও এই বিয়েতে দেখা মেলেনি সায়কের মা, ভাই সব্যসাচী, তাঁদের বাড়ির পরিচারিকা খুকু, সায়কের দিদি প্রেরণা, বন্ধু সুকান্ত ও অনন্যার। একমাত্র উপস্থিত ছিলেন গায়িকা দেবলীনা নন্দী।
এই দৃশ্য দেখে যে মনে খানিক প্রশ্ন জাগছে না তা নয়, সত্যিই কি বিয়ে করলেন সায়ক? নাকি কোনও শুটিংয়ের দৃশ্য। সায়ক ও অয়ন্যা দুজনের কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। দিনদুয়েক আগে সায়ক নিজেই পোস্ট করেছিলেন ‘ভাবছি এ বার বিয়েটা সেরেই ফেলি’। তার পর থেকে বহু ফোন গিয়েছে তাঁর কাছে। তবে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি অভিনেতা। আর এর মাঝেই বিয়ের ছবি সামনে এল। তাহলে কি চুপিসারে বিয়েটা সেরেই নিলেন সায়ক?