রণজয়-সোহিনী-সায়ন্তিকাতিনজনেই নিজেদের মতো করে জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও টানা হ্যাঁচড়া পিছু ছাড়ছে না। জুলাইতেই সোহিনী-শোভন আইনিমতে বিয়ে সারেন আর তারপর থেকেই সোহিনীর প্রাক্তন রণজয় বিষ্ণু সোশ্যাল মিডিয়ায় সমবেদনা কোড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর তারপরই রণজয়ের আর এক প্রাক্তন তথা মডেল-অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন অভিনেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ করতে ছাড়েননি রণজয়ও। আর এইসব বিষয়ের পরই নাকি অভিনেতাকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে সোহিনী ও সায়ন্তনীর পক্ষ থেকে। যদিও রণজয় বিষ্ণু এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, সোহিনী ও সায়ন্তনী দুই অভিনেত্রীর সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রণজয়। তবে দুটো সম্পর্কই টেকেনি। দুই অভিনেত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, সোহিনী-শোভনের বিয়ের পর নাকি রণজয় কাছের মানুষদের কাছে তাঁদের অতীত নিয়ে কুকথা বলেন। তারপরই বচসা শুরু হয়। সোহিনী ও সায়ন্তনী দুজনেরই অভিযোগ, রণজয় নাকি তাঁদের সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রণজয়।
এক সাক্ষাৎকারে রণজয় জানিয়েছিলেন যে তিনি এবং তাঁর পরিবার এই ধরনের কুৎসা শুনতে শুনতে মানসিক দিক থেকে আহত। তিনি প্রয়োজনে এইসব অপমানের জবাব দেবেন আইনি পথে। শোনা যাচ্ছে, এরপরই সোহিনী ও সায়ন্তনী অভিনেতাকে আইনি নোটিস পাঠান। তবে এই দুই অভিনেত্রী এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে রণজয় এ প্রসঙ্গে জানান যে তিনি এ নিয়ে কিছুই বলতে চান না। তবে ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো, এক সপ্তাহ আগেই রণজয় নোটিস পেয়েছেন। দুপক্ষের আইনজীবী গোটা বিষয়টি দেখছেন।
প্রসঙ্গত, সোহিনীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছেন রণজয়। আর তাঁরা প্রত্যেকেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। আর তাঁদের মধ্যে সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতাও রয়েছেন। ২০১০ সালে রণজয় ও সায়ন্তনীর সম্পর্ক শুরু। তবে ২০১৩ সালে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। আর সেই সম্পর্কে থাকাকালীন রণজয় নাকি সায়ন্তনীর থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহিনীকে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে প্রথম পোস্ট করেন সায়ন্তনীই। লেখেন, 'প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটাকে নিয়ে পাবলিসিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন… এঁরা হলেন তাঁরা, যাঁরা মৃতদেহের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন।' আর সেই পোস্টে লাইক দেন সোহিনী। এরপরই বিষয়টি আইনি পথে এগোয়।