সাহিত্য আজতকের মঞ্চে জয়দীপ আহলাওয়াত২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে Sahitya Aaj Tak 2025। রবিবার ছিল এই অনুষ্ঠানের শেষদিন। আর এইদিন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও ওটিটি তারকা জয়দীপ আহলাওয়াত সাহিত্য আজতকের মঞ্চে এসে নিজের কেরিয়ার, শৈশব, অভিনয় জীবন নিয়ে কথা বললেন। জয়দীপ জানিয়েছেন, তিনি চরিত্রের মধ্যে কীভাবে ঢুকে পড়েন। অভিনেতা জানান যে কোনও চরিত্র নিয়ে যখন তিনি পড়াশোনা করেন তখনই সেই চরিত্রের ধাঁচে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন এবং এরপরই তিনি সেই সিনেমা বা সিরিজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অভিনেতা এও জানান যে দায়িত্ব এটাই থাকে যে গল্পে বা চরিত্রে যে অনুভূতি রয়েছে, সেটাই দর্শকদের কাছে পৌঁছানো।
মহারাজ-এ তাঁর চরিত্রের জন্য নিজের মধ্যেকার পরিবর্তন প্রসঙ্গে জয়দীপ বলেন, 'লকডাউনের আগের সিনেমা হল মহারাজ। সেই বছরের র জানুয়ারিতে আমার শেষ সিনেমা মুক্তি পায়। বাগী-তে আমি ছিলাম আর বাগী মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। এরপর পাতাল লোক আসে, কিন্তু তখন বাড়িতে আটকে ছিলাম। আমি ৭-৮ মাস কোথাও যেতে পারিনি। আর ঈশ্বরের কৃপায় বাড়িতে ঘি-দুধ আর খাবারের অভাব ছিল না। তাই আমার ওজনও বেড়ে গিয়েছিল। আমি ১১০ কিলোর হয়ে গিয়েছিলাম, আমার এখনও মনে আছে আমার ওজন ছিল ১০৯.৭ কিলো, যেদিন থেকে আমি ট্রেনিং শুরু করি। ৮৩ কিলো পর্যন্ত পৌঁছাই।'
জয়দীপ এরপর আরও বলেন, ওই চরিত্রের জন্য পরিচালকের মাথার মধ্যে যে চিন্তা ভাবনা চলছিল, সেটা সফল হচ্ছিল। সেই ব্যক্তির মানসিকতা যাই হোক না কেন, এটি তার বিপরীত। মনটি অদ্ভুত হতে পারে, কিন্তু চেহারায় অদ্ভুত নয়। তাই, তিনি এটাই চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ৬ মাস আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমাকে প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল।
মহারাজ অভিনেতা আরও বলেন, এমন একটা দিনও ছিল না যে, আমায় কিছু খেতে দেওয়া হয়েছে, আর আমি তা প্রত্যাখান করেছি। শুধু সেটাই খেতাম, যা প্রশিক্ষক আমায় দিতেন। আমি জানতাম না কীভাবে তৈরি হয়, কী খাবার তৈরি হচ্ছে, কতটা তৈরি হচ্ছে। তবে সেটা এক মুঠোর বেশি হত না আর তিনবার করে ট্রেনিং হত। ৬ মাস আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল। মাঝে মাঝে মনে হত এই ওজনেই অভিনয় করে নি। অভিনয় তো করম পরে ওজন নিয়ে ভাবা যাবে।