টেলি দুনিয়ার পরিচিত মুখ শ্রুতি দাস। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনেত্রী তাঁর জায়গা করে নিয়েছেন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে। আর কিছুদিনের মধ্যেই শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবি আমার বস-এর মাধ্যমে বড়পর্দায় ডেবিউ করবেন। এই সবের মাঝে শ্রুতির আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝোঁক যে রয়েছে তা বরাবরই দেখা গিয়েছে। পুজোর সময়ও স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে শ্বশুরবাড়ির পুজোতেও কাজ করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। সামনেই কালীপুজো আর শ্রুতির শ্যামাভক্তির কথাও অজানা নয়। আর কালীপুজোর আগে বড়মাকে স্বপ্নে দেখলেন শ্রুতি।
নৈহাটির বড়মা কয়েক বছরে টলিউড ও টেলিভিশন তারকাদের চোখের মণি হয়ে উঠেছেন। অনেক তারকাই সময় পেলে বড়মার দর্শনে যান। সেই তালিকায় রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য, শ্রাবন্তী, শ্রীময়ী-কাঞ্চন থেকে শুরু করে অনেকেই। বড়মার মূর্তি ভয়ঙ্কর কিন্তু একবার দেখলে ভক্তিতে মন ভরে উঠবে। চোখের চাহনিতে ভীতি আসবে না, অন্তর ভরে উটবে ভক্তিরসে। আর ঠিক কালীপুজোর আগেই বড়মার দর্শন পেলেন শ্রুতি স্বপ্নে। কেমন ছিল সেই অনুভূতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটাটাই জানিয়েছে রাঙা বউ খ্যাত অভিনেত্রী।
শ্রুতি তাঁর ফেসবুকে শিল্পী সুরঞ্জন দাসের মেকআপে হয়ে ওঠা এক মডেলের বড়মা রূপের ছবি পোস্ট করে লেখেন, স্বপ্ন দেখলাম বড়মাকে অনেক উঁচুতে উঠে বরণ করছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি বেশিরভাগ পোস্ট ওনাকে নিয়ে। জয় বড়মা। কপালে থাকলে আবার তোমায় একদিন দেখতে যাব মা। সুরঞ্জন মেকআপটা ভালো হয়েছে। টলিউড তারকাদের সঙ্গে বড়মার প্রতি ভালোবাসা বেশ গভীর। অনেক তারকাকেই কালীপুজোর দিন নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে যেতে দেখা যায়।
কালীপুজোর দিন রীতিমতো লাইন লেগে যায় বড়মার পুজো দিতে গিয়ে। প্রসঙ্গত, গত বছর নৈহাটির বড়মার পুজোর একশো বছর পূর্ণ হয়েছে। নবরূপে সাজানো হয়েছে মন্দির। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি। সেখানে নিত্যদিন পূজিত হন মা। নিয়ম মেনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন শুরু হয় ২১ ফুটের মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজোয় কয়েকশো সোনা ও রুপোর গয়নায় প্রতিমা সাজানো হয়। বির্সজনের দিন গয়না খুলে ফুলের সাজে সাজানো হয় মাকে। পুজোয় অগুণিত ভক্তের সমাগম হয়। ভক্তদের বিশ্বাস মন থেকে মায়ের কাছে কিছু চাওয়া হলে মা নাকি কাউকে ফেরান না। সেই থেকেই উঠে এসেছে, ‘ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার’ প্রবাদ।