বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের। একাধিক বিয়ে, ডিভোর্স, বেশি বয়সে বাবা হওয়া এইসব নিয়ে বারে বারে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে কাঞ্চন মল্লিককে। তবে এইসব নিয়ে কখনই খুব বেশি চিন্তা ভাবনা করার মানুষ নন উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। একেবারে নিজের মতো করে জীবনকে উপভোগ করেন তিনি। শ্রীময়ীকে বিয়ের পর এটা তাঁর দ্বিতীয় জামাইষষ্ঠী। গত বছর শ্য়ুটিং থাকার কারণে সেইভাবে জামাইষষ্ঠী পালন করতে পারেননি। কিন্তু এইবছর জমিয়ে শাশুড়ির আদর খেলেন জামাই কাঞ্চন। আর সঙ্গে তো এলাহি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা।
এর আগেও কাঞ্চনের জামাইষষ্ঠী পালন হয়েছে। শ্রীময়ীর আগেও বিধায়ক-অভিনেতা দুবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সুতরাং সেই সময়েও তিনি জামাইষষ্ঠী খেয়েছেন। কিন্তু কাঞ্চনের কথায় তাঁর জীবনের সেরা জামাইষষ্ঠী এটাই। এদিন কাঞ্চনের বাড়িতেই বিরাটভাবে জামাইষষ্ঠী পালনের আয়োজন করা হয়। যেখানে শ্রীময়ীর দিদি-জামাইবাবুও আসেন। আর সেখানেই এক সংবাদমাধ্যমের কাছে কাঞ্চন বলেন, জামাইষষ্ঠী বহুবার হয়েছে। তিন বার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও বলছি, এরকম নিয়মকানুন মেনে প্রথমবার জামাইষষ্ঠী পালন করছি। এর আগে কখনও যা হয়নি।
কী কী পদ ছিল জামাই কাঞ্চনের পাতে? শ্রীময়ীর মা দুই জামাইয়ের জন্য অলাহি আয়োজন করেছিলেন। এদিন সকালে লুচি ও ছোলার ডাল দিয়ে প্রাতঃরাশ সেরেছেন কাঞ্চন। দুপুরের খাবারও কাঞ্চন কবজি ডুবিয়ে খেয়েছেন। মেনুতে ছিল- ফিসফ্রাই,পোলাও, সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, চিংড়ির মালাইকার, ইলিশ মাছ, মৌরলা মাছের ঝাল আর মটন কষা। জামাইষষ্ঠীর সব নিয়মই পালন করা হয় এদিন। কাঞ্চন ও শ্রীময়ী সাজেও ছিল আদ্যোপান্ত বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। নিজের থালা থেকে স্ত্রী শ্রীময়ী ও মেয়ে কৃষভিকে খাইয়ে দিতে ভুললেন না কাঞ্চন। খাওয়া-দাওয়ার পর রবিবাসরীয় আড্ডা জমে যায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে। পুরো পরিবার সেদিন একসঙ্গে হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে কাঞ্চনের বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসের সঙ্গে। সাত বছর সংসার করার পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। পরবর্তীতে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন অভিনেতা। সেই দাম্পত্যও সুখর হয়নি। গত বছর পিঙ্কিকে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ে করেন তৃণমূল বিধায়ক। বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মেয়ে কৃষভির জন্ম। কিছুদিন আগেই মেয়ের মুখ দেখিয়েছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।