প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করেছেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। মান্ডি থেকে ভোটে জিতেই বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যাওয়ার সময় চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সদ্য জয়ী সাংসদ কঙ্গনাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে সিআইএসএফ মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। তবে এইবার যাঁর কারণে কঙ্গনা শিরোনামে এসেছেন তিনি হলেন চিরাগ পাসওয়ান। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জয়ী সাংসদ কঙ্গনা সম্প্রতি দিল্লিতে পৌঁছেছেন আর সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তাঁরই সহ-অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের জয়ের পর এখন নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে। দিল্লিতে সংসদীয় দলের মিটিংয়ের জন্য শুক্রবার সব সাংসদ দিল্লিতে গিয়েছেন। কঙ্গনাও সেই আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য পৌঁছেছেন আর সেখানেই চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে দেখা হয় সদ্য জয়ী বিজেপি সাংসদের। পিটিআইয়ের হাতে এসেছে এমনই এক ভিডিও, যেখানে দেখা গিয়েছে, এনডিএ-এর সংসদীয় বৈঠকের জন্য চিরাগ পাসওয়ান পৌঁছান এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে পোজ দেওয়ার সময়ই সেখান থেকে কঙ্গনা যাচ্ছিলেন। চিরাগ কঙ্গনাকে ডাক দেন এবং তাঁকে ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দন দিতেও দেখা গিয়েছে।
বিহারের হাজিপুর থেকে নির্বাচনে জিতে সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান লোক জনশক্তি পার্টির (রাম বিলাস) সভাপতি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ এনডিএ-র অংশ। সংসদীয় দলের বৈঠকেও অংশ নিতে এসেছেন তিনি। কঙ্গনা-চিরাগ দীর্ঘদিন ধরেই একে-অপরকে চেনেন। ‘মিলে না মিলে হাম’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। মান্ডি কেন্দ্র থেকে কঙ্গনা জেতার পর তাঁকে ‘দাপুটে এবং সাহসী নেত্রী’ বলে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন চিরাগ। এবার সংসদে প্রথমবার দেখা হতেই অভিনেত্রীকে কাছে টেনে নিলেন তিনি। দুজনের মুখেই যেন হাসি ঝরে পড়ছিল। সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি কথাও হয় দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ। চড়কাণ্ডের পর ‘পুরনো হিরো’র তরফে এমন সৌজন্য যে অভিনেত্রীর ক্ষততে মলমের প্রলেপের মতো কাজ করবে, তা বলাই বাহুল্য!
এই ‘হবু সাংসদ’ অতীতে একসঙ্গে একবার সিনেমার জন্য জুটিও বেঁধেছিলেন। কঙ্গনা-চিরাগের সেই ছবির কথা সম্ভবত অনেকেই জানেন! ২০১১ সালে কঙ্গনার সঙ্গে চিরাগ মিলে না মিলে হাম ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন। লোকসভা ভোটে জয়ী দুই প্রার্থীর মার্কশিটে নম্বরের বহর দেখে এবার সেই অতীত কথাই বর্তমানে প্রাসঙ্গিক।