scorecardresearch
 

Rachna Banerjee: 'আমার বাড়িতে কোনওদিন কার্তিক পড়েনি', আক্ষেপ সাংসদ-অভিনেত্রী রচনার

Rachna Banerjee: শনিবার ছিল কার্তিক পুজো। আর এই পুজোর নিয়মই হল কার্তিক কিনে নয় বরং বাড়িতে ফেলে আসা হয় আর সেই মূর্তি নিয়েই হয় পুজো। কারোর বাড়িতে জোড়া কার্তিক পড়ে আবার কারোর বাড়িতে তিনটে আবার কারোর বাড়িতে একটা কার্তিক পড়ে। বাংলায় এইভাবেই কার্তিক পুজো করার চল রয়েছে।

Advertisement
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • শনিবার রচনা গিয়েছিলেন পোলবা দাদপুর ব্লকের কৃষি খামার প্রাঙ্গনে।
  • রচনা তাঁর ছেলে প্রণীলকে একাই মানুষ করে তুলেছেন।

শনিবার ছিল কার্তিক পুজো। আর এই পুজোর নিয়মই হল কার্তিক কিনে নয় বরং বাড়িতে ফেলে আসা হয় আর সেই মূর্তি নিয়েই হয় পুজো। কারোর বাড়িতে জোড়া কার্তিক পড়ে আবার কারোর বাড়িতে তিনটে আবার কারোর বাড়িতে একটা কার্তিক পড়ে। বাংলায় এইভাবেই কার্তিক পুজো করার চল রয়েছে। কিন্তু কখনও কি অভিনেত্রী তথা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কার্তিক পড়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার রচনা গিয়েছিলেন পোলবা দাদপুর ব্লকের কৃষি খামার প্রাঙ্গনে। সেখানে বিরসা মুন্ডার জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। এরপরই সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরে আসা হয়নি। আগামী বছর আসব। বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোতেও আজ যাওয়া হবে না। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তাঁর বাড়িতে কার্তিক পুজো হয় কিনা। তারই উত্তরে রচনা বলেন, আমার বাড়িতে কার্তিক পড়েনি। হুগলির সাংসদ হেসে হেসে বলেন, আমার বাড়িতে যে কার্তিক (রচনার ছেলে) রয়েছে, সে নিজের পুজোর ব্যবস্থা নিজে করে নেবে। 

ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক

কার্তিক পুজোর প্রথা অনুযায়ী, বিবাহিতাদের বাড়িতে কার্তিক ফেলার রীতি রয়েছে। বিশেষ করে সদ্য বিবাহিতাদের বাড়িতে। বিশেষত সন্তান কামনা করেই এই দেবী দুর্গাপুত্র কার্তিকের মূর্তি ফেলার রীতি রয়েছে। আর এই দেবমূর্তি ফেলা হলে পুজো করতেই হয়। পুজোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু রচনার দাবি, তাঁর বাড়িতে কেউ কখনও কার্তিক ফেলে যায়নি আর তাই কখনও কার্তিক পুজো করাও হয়নি। তারকা সাংসদ এও জানিয়েছেন যে সংসদীয় কাজকর্ম ছাড়াও তাঁর সংসারের কাজ ও দিদি নম্বর ওয়ান-এর শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততাও রয়েছে। 

আরও পড়ুন

ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক

প্রসঙ্গত, রচনা তাঁর ছেলে প্রণীলকে একাই মানুষ করে তুলেছেন। স্বামী প্রবীর বসুর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আলাদা থাকার কারণে ছেলের দায়িত্ব একাই পালন করেছিলেন রচনা। তবে এই বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই রচনা ও প্রবীরের ভাঙা সংসার ফের জোড়া লেগেছে। ছেলে প্রণীলকে বাবার সঙ্গে এখানে-ওখানে ঘুরতেও যেতে দেখা যায়। রচনার প্রথমবার পার্লামেন্টে শপথ নেওয়ার দিনও দিল্লিতে উড়ে গিয়েছিলেন প্রবীর ও রচনা-পুত্র। ছেলে প্রণীলকে রীতিমতো চোখে চোখে রাখেন রচনা। ছেলের কারণেই বড়পর্দা থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন অভিনেত্রী।    

Advertisement

Advertisement