টলিউড এখন সরগরম টেলি অভিনেত্রী নবনীতা দাস ও তাঁর নায়ক স্বামী জিতু কমলের ডিভোর্স নিয়ে। কয়েকদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। নবনীতা গত তিনমাস ধরে জিতুর থেকে আলাদা থাকছে। যদিও একসময় জিতু-নবনীতা পাওয়ার কাপল হিসাবে পরিচিত ছিলেন। জিতু বরাবরই নবনীতাকে বাচ্চা বউ বলেই সম্বোধন করতেন। কীভাবে জিতু-নবনীতার প্রেম শুরু হয়েছিল আসুন জেনে নিই।
নবনীতা দাস ও জিতু কমলের কেরিয়ার শুরু হয় ছোটপর্দা দিয়েই। তাঁদের দুজনের আলাপই হয় শ্যুটিং সেটে। তাঁরা একসঙ্গে অর্ধাঙ্গিনী সিরিয়ালে কাজ করতেন। সিরিয়ালের শুরু থেকে জিতু ছিলেন না, বরং ধারাবাহিকের মাঝপথে এন্ট্রি হয় জিতুর। শ্যুটিং ফ্লোরেই একে-অপরের সঙ্গে আলাপ, বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পেতে বেশি সময় লাগেনি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জিতু কমল বলেছিলেন যে সেভাবে প্রেম করা হয়নি তাঁদের। বরং সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে এগিয়েছিল সম্পর্ক। কারণ জিতুর বাড়ি থেকে ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ আসছিল। অভিনেতা বলেছিলেন যে সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়ে সকলের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয় তাঁর। সকলে ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করেন। তিনিও তাঁর বাড়ির কথা জানান সকলকে। নবনীতার সঙ্গে তাঁর বেশ বন্ধুত্ব ছিল। কথার ছলে তাঁর বাড়ির এই কথা নবনীতাকে বলেছিলেন।
জিতুর কথা শুনে মজার ছলেই নবনীতা শুনে বলেছিলেন, তাঁকে বিয়ে করতে। এই কথার উত্তরে জিতু বলেছিলেন, তোকে কেন বিয়ে করব, বাচ্চা মেয়ে। এমনই মজা করতেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের অজান্তে সেই মজা ভালোবাসায় পরিণতি পায়। সর্বত্র চর্চা শুরু হয় তাঁদের প্রেমের।
নবনীতা ও জিতু কেউ কাউকে আই লাভ ইউ বলেলনি। তবে, প্রেমের প্রস্তাব দিয়েই এত বছর সম্পর্কে থাকলেন তারা। মুখে ভালোবাসি না বললেও তাদের মধ্যে গভীন অনুভূতির টান ছিল। এই কারণেই বিয়ে করেন তাঁরা। পাঁচ বছর একসঙ্গে থাকার পর অবশেষে সেই সম্পর্কে চিড় ধরল। জিতু ও নবনীতার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে রয়েছে অসংখ্য ভালোবাসার ছবি। সেই ছবিগুলি সাক্ষী দিচ্ছে তাঁদের মধ্যে প্রেম ছিল কতটা গভীর। কিন্তু হঠাৎ সেই ছন্দে পতন। এখন সর্বত্রই তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন।
বিয়ে ভাঙার কথা প্রথম নবনীতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। তার পাশাপাশি জিতুও জানিয়েছিলেন যে তিনি আগামী দিনেও তাঁর বাচ্চা বউকে আগলে রাখবেন। যদিও জিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কিছুই বলতে চাননি। অপরদিকে ফেসবুকে লাইভ করে নবনীতা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর ও জিতুর যৌথ সিদ্ধান্তেই এই ডিভোর্সটা হচ্ছে।