পুজো শেষ। তাতে কী, বাঙালির উৎসব-পার্বণের মরশুম এখনও তো শেষ হয়নি। তার ওপর আবার শনিবার ২৮ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এদিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। টলিউডের একাধিক তারকাদের বাড়িতেও এই লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম উত্তম কুমারের বাড়ির পুজো। তবে এখন এই পুজোর দায়িত্ব পুরোপুরি সামলান নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী দেবলীনা কুমার। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকেই তাই দেখা গেল দেবলীনা বিশাল ব্যস্ত।
চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা কিন্তু অন্য পাঁচটা লক্ষ্মী প্রতিমার মতো নয়। ভবানীপুরের বাড়ির লক্ষ্মীপ্রতিমা বানানো হয় সেই বাড়ির-ই গৃহলক্ষ্মীর মুখে আদলে। মহানায়কের বাড়ির পুজোয় আদতে আজও ‘গৌরীরূপী’ লক্ষ্মীর পুজোর চল রয়েছে। আরেকটু খোলসা করে বললে, উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরিদেবীর মুখের আদলে লক্ষ্মীপ্রতিমা বানিয়েই পুজো শুরু করেছিলেন মহানায়ক। আর সেই রীতি আজও চলে আসছে। আর ঠাকুরদা উত্তম কুমার, তরুণ কুমার একসময়ে যে আসনে বসে পুজো করতেন, এখন সেই আসনে বসে পুজো করেন নাতি তথা টলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার থেকেই তাই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে সাজো সাজো রব। রাতেই চলে এসেছে লক্ষ্মী ঠাকুর। তাঁকে বরণ করে নিয়েছেন দেবলীনা, গৌরবের মা সহ বাড়ির মহিলারা।
পারিবারিক রীতি মেনে গৌরবই এখন লক্ষ্মীপুজোর সব দায়িত্ব পালন করেন। বাড়ির প্রবেশমুখ পেরিয়েই বড় উঠোন। তার সামনেই ঠাকুরঘর, সেখানেই সাবেকি আলপনা দিয়ে ফুলে সাজানো হয় ঠাকুরের আসন। সাজান গৌরব ও তাঁর বোনেরা নিজে হাতে। একসময় বাড়িতে ভিয়েন বসত। ভিন্ন রকমের মন্ডা-মিঠাই তৈরি হত। রান্না হত বাড়ির ছাদে। কিন্তু এখন কালের নিয়মে পুজোর কলেবর ছোট হয়েছেন। ভিয়েন বসে না। খুব ঘরোয়াভাবেই এখন লক্ষ্মীপুজো হয়। তবে বাড়ির পুজোয় আসেন গৌরবের ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু-বান্ধবেরা।
অপরদিকে, দেবলীনার নাচের স্কুলেও লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। সেখানেও চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। নাড়ু তৈরি, পায়েস সবই হচ্ছে। অভিনেত্রী সেই ঝলক শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এ বছর মা লক্ষ্মীর শাড়িতেই সাজবেন দেবলীনা। গত বছর মা লক্ষ্মীকে একটি লাল রঙের শাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেই শাড়িটাই এ বছর পুজোয় পরবেন অভিনেত্রী। সঙ্গে থাকবে মানানসই সোনার গয়না। স্বামী গৌরবের সঙ্গেই শ্বশুরবাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় সামিল হবেন তিনিও। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও দেবলীনা বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির পুজো সামলাবেন।