টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে মিশমি দাস খুবই পরিচিত এক মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি মিশমি জনপ্রিয় তাঁর বোল্ড অবতারের জন্য। বাংলা টেলি ইন্ডাস্টির গণ্ডী পেরিয়ে মিশমি হিন্দিতেও তাঁর ছাপ ফেলেছেন। নিজের চেহারার জন্য বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তবে এইসব বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে মিশমি ফের তাঁর সাহসী অবতারে ধরা দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মিশমি যে ছোট ভিডিওটি পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁকে প্রথমে সাদা রঙের শার্ট পরে সমুদ্রের ধারে দেখা গিয়েছে। এরপরই তাঁকে দেখা যায় লাল রঙের ব্রালেট ও সাদা রঙের মিনি স্কার্টে। শুধু তাই নয়, মিশমি ধরা দেন বিকিনিতেও। আবার কখনও বা কালো রঙের ড্রেসে মিশমি ফ্লন্ট করেছেন তাঁর পিঠের ট্যাটুকে। আবার কখনও বা নীল রঙের সমুদ্রের ধারে মিশমিকে দেখা গিয়েছে দোলনায় দুলতে, তিনি পরে রয়েছেন হাল্কা নীল রঙের স্লিট ড্রেস। এই ভিডিও দেখে এটা স্পষ্ট যে মিশমির এটা পুরনো ভিডিও, তিনি সেই সময় কোনও সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে মিমি চক্রবর্তীর তুফান সিনেমার লাগে উরা ধুরা গানটি।
মিশমি এই প্রথম নয়, এর আগেও মিশমিকে দেখা গিয়েছিল এই ধরনের বোল্ড অবতারে। বিকিনি হোক বা মনোকিনি, মিশমি এই সব পোশাকেই যে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যদিও অভিনেত্রীরকে বারংবার বডি শেমিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাঁর চেহারা নিয়ে। তবে এইসব কিছু নিয়ে এখ ভাবতে নারাজ তিনি। মিশমিকে এখন দেখা যাচ্ছে কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে। এখানে রণজয় বিষ্ণুর বোন হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, রণজয়ের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তবে কিছুদিন আগেও রণজয় ও মিশমি ভিডিও বার্তায় সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এটা শুধুই গুজব।
একটা সময় চুটিয়ে প্রেম করতেন মিশমি। প্রেমিক বিশাল ভন। প্রেমিকের হাত ধরে গোয়াও পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে-সব এখন অতীত। ব্রেক আপের পর এখন পুরোপুরি সিঙ্গল মিশমি দাস। এখন নিজেকে ভালোবাসাতে শিখেছেন মিশমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই ‘সেলফ লাভ’-এর পাঠ দেন। সমাজমাধ্যমে বরাবরই বোল্ড মিশমি। ২০১৪ সালে ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় হাতেখড়ি হয় মিশমি দাসের। পরবর্তীতে একাধিক মেগায় নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে অন্যতম ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। অন্বেষা-ঋত্বিকের মাঝের তৃতীয় ব্যক্তি রিনি হিসাবে দাগ কেটেছিলেন মিশমি।